স্টাফ রিপোর্টার :
বালাগঞ্জের হামছাপুর গ্রামে ডাকাতির মামলায় ৪ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অপর ৬ জনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ ৫ম আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক রুকসানা বেগম হেপি এ রায় ঘোষণা করেন।
দন্ডপ্রাপ্তরা হচ্ছে- মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল থানার তাপসিপাড় গ্রামের রতীস দাসের পুত্র রনঞ্জিত দাস (৩৫), একই এলাকার শংকরসেনা গ্রামের মৃত আব্দুল হাকিমের পুত্র ফুল মিয়া (৪৫) মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর থানার শাহপুর গ্রামের আব্দুল মতলিবের পুত্র আব্দুস শহীদ (৪০) ও একই থানার শাহপুর গ্রামের গোলাম রব্বানীর পুত্র বাদল মিয়া (৪০)। এর মধ্যে বর্তমানে ফুল মিয়া, আব্দুস শহীদ ও বাদল মিয়া জেলে থাকলেও রনঞ্জিত দাস পলাতক রয়েছে। এছাড়াও খালাস প্রাপ্তরা হচ্ছেন- আবু বক্কর, রুমন মিয়া, আফজাল, সুজন, সাইদুল ও টুনু।
রায়ের পাশাপাশি আদালত দন্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেক আসামীকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা আনাদায়ে আরো ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন বলে জানিয়েছেন আদালতের এপিপিএডভোকেট এসএম পারভীন।
তিনি জানান, ডাকাতির মামলায় আদালত ৪ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের পাশাপাশি এই মামলা থেকে আরও ৬ জনকে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অব্যাহতি দিয়েছেন।
তিনি জানান, ২০১৪ সালের ১৫ আগষ্ট রাতে বালাগঞ্জের হামছাপুর গ্রামের বাসিন্দা শাহজাহান মিয়ার বাড়িতে একদল ডাকাত হানা দেয়। এ সময় ডাকাতরা পরিবারের সবাইকে জিম্মি করে বসতঘর থেকে ২ লাখ ৯৩ হাজার মূল্যের মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় শাহজাহান মিয়া বাদী হয়ে বালাগঞ্জ থানায় একটি ডাকাতি মামলা দায়ের করেন।
এরপর পুলিশ অভিযান চালিয়ে ডাকাতদেরকে গ্রেফতার করে। পরে দীর্ঘ তদন্ত শেষে বালাগঞ্জ থানার এসআই কামরুজ্জামান ২০১৪ সালের ২৮ অক্টোবর ১০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে এ মামলার চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন এবং ২০১৫ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে উক্ত মামলাটির বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। দীর্ঘ শুনানী ও ১৫ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত গতকাল বৃহস্পতিবার উক্ত রায় ঘোষণা করেন।