কাজিরবাজার ডেস্ক :
আগামী ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) ১ লাখ ৭৩ হাজার কোটি টাকা অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর বাইরে স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার অর্থায়নে ৭ হাজার কোটি টাকা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে ১ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকার নতুন এডিপি অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) বৈঠকে এটি অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সভার বিস্তারিত তথ্য সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানান, অনুমোদিত এডিপিতে ১৪৫২টি প্রকল্প রাখা হয়েছে। এর মধ্যে বিনিয়োগ প্রকল্পের সংখ্যা ১২২৭টি, কারিগরি ১১৭ ও জেডিসিএফ দুটি প্রকল্প রয়েছে। এর বাইরে স্বায়ত্তশাসিত প্রকল্পের সংখ্যা ১০৫টি। মোট বরাদ্দের মধ্যে আগামী ২০১৮-১৯ অর্থবছরের এডিপিতে অগ্রাধিকার পাবে এসব মেগা প্রকল্প।
মন্ত্রী আরো জানান, অনুমোদিত এডিপিতে বৈদেশিক সহায়তা থেকে সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬০ হাজার কোটি টাকা। বাকি ১ লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা জোগান দেয়া হবে সরকারের (জিওবি) নিজস্ব খাত থেকে।
মোট বরাদ্দের মধ্যে আগামী ২০১৮-১৯ অর্থবছরের এডিপিতে অগ্রাধিকার পাবে এসব মেগাপ্রকল্প। ১০টি মেগাপ্রকল্পে অগ্রাধিকার দিতে গিয়ে স্থানীয় সরকার, বিদ্যুৎ বিভাগ, পরিবহন, বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি, রেল, সেতু, স্বাস্থ্য, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে ১ লাখ ২৮ হাজার ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ থাকবে, যা মোট এডিপির ৭৪ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ।
বিশেষ করে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘২০১৭-১৮ অর্থবছরের অর্জন, বাস্তবতা ও সক্ষমতা বিবেচনা করে চলতি বছরের এডিপির আকার নির্ধারণ করা হয়েছে।