সিলেট রামকৃষ্ণ মিশনের সম্পাদক স্বামী চন্দ্রনাথান্দজী মহারাজ বলেছেন, ভগবান শ্রীকৃষ্ণ পৃথিবী থেকে দুরাচারী দুষ্টদের দমন আর সজ্জনদের রক্ষার জন্যই এ মহাবতার স্বর্গ থেকে পৃথিবীতে আবির্ভূত হন। ধর্মগ্রন্থ গীতা সেই সাক্ষ্য দেয়। সনাতন ধর্মালম্বীদের বিশ্বাস, পাশবিক শক্তি যখন ন্যায়নীতি, সত্য ও সুন্দরকে গ্রাস করতে উদ্যত হয়েছিল, তখন সেই শক্তিকে দমন করে মানবজাতির কল্যাণ এবং ন্যায়নীতি প্রতিষ্ঠার জন্য মহাবতার ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব ঘটে। ঈশ্বরের দূত বা অংশ হিসেবে মানব জাতিকে উদ্ধারের জন্য যেসব মহামানব যুগে যুগে অবতীর্ণ হন তাদেরকে অবতার বলা হয়।
তিনি শুক্রবার সকাল ১১টায় মণিপুরী রাজবাড়িস্থ শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারী মন্দির আশ্রম প্রাঙ্গণে সনাতন হিন্দুধর্মের প্রাণপুরুষ পার্থসারথি ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পূত আবির্ভাব স্মরণে সার্বজনীন জন্মাষ্টমী উদ্যাপন পরিষদ সিলেট আয়োজিত দুইদিন ব্যাপী সার্বজনীন জন্মাষ্টমী উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
সার্বজনীন জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক বিরাজ মাধব চক্রবর্তী মানসের সভাপতিত্বে ও বিজয় কৃষ্ণ বিশ্বাসের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, ভারতীয় হাই কমিশনার সিলেট অফিসের সেকেন্ড সেক্রেটারী গিরিশ পুজারী ও মিসেস যমুনা পুজারী, বিজিত কুমার দে, শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, সার্বজনীন জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব সুব্রত দেব। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিরেন্দ্র সূত্রধর।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রঞ্জন ঘোষ, প্রদীপ দেব, গোপিকা শ্যাম পুরকায়স্থ, চন্দন সাহা, বীরেন্দ্র সূত্রধর, রজত কান্তি ভট্টাচার্য্য, মৃত্যুঞ্জয় ধর ভোলা, নির্মল কুমার সিনহা, রজত কান্তি গুপ্ত, কৃষ্ণপদ সুর্তীব।
অনুষ্ঠান শেষে চিত্রাংকন, কীর্তন ও গীতা পাঠ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন অতিথিবৃন্দ। বিজ্ঞপ্তি