পর্যটন নগরীর শ্রীমঙ্গলের লাউয়াছড়া সড়কে গাছ ফেলে গণডাকাতি

11

মৌলভীবাজার থেকে সংবাদদাতা :
পর্যটনখ্যাত শ্রীমঙ্গলের লাউয়াছড়া সড়কের বিটিআরআই চা বাগানের (বেলতলী) নামক এলাকায় গাছ ফেলে সড়ক অবরোধ করে ১৩/১৪ জনের একটি ডাকাতদল।
(১৪ জুন) মঙ্গলবার দিবাগত রাত পৌণে ১টার দিকে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার লাউয়াছড়া সড়কে বিভিন্ন যানবাহনে রাত পৌণে ১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। এ সময় ডাকাতেরা যাত্রীদের মারধর করে মুঠোফোনসহ কয়েক হাজার টাকা লুট করে পালিয়ে যায়।
ভুক্তভোগীরা জানান, মঙ্গলবার রাত পৌণে ১টার দিকে শ্রীমঙ্গল লাউয়াছড়া সড়কের বিটিআরআই চা বাগানের বেলতলী এলাকায় গাছ ফেলে সড়ক অবরোধ করে ১৩/১৪ জনের একটি ডাকাতদল। এরপর ডাকাতদলের লোকজন আটকে পড়া যানবাহনগুলোতে চড়াও হয়।
জানা গেছে, ডাকাতিকালে শ্রীমঙ্গল ফাইভ স্টার হোটেল গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্ট অ্যান্ড গলফ হোটেলের স্টাফদের, নোহা গাড়ির যাত্রী, সিএনজি অটোরিকশার চালক ও যাত্রীদের মারধর করে তাদের মুঠোফোন ও লক্ষাধিক টাকা ছিনিয়ে নেয় ডাকাতরা। লুটপাটের সময় ডাকাতদের আঘাতে চালকসহ মোট ১৫/২০ জন আহত হয়েছেন।
এদিকে শ্রীমঙ্গলের গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্ট এন্ড গলফ হোটেলের ইঞ্জিনিয়ার ডিপার্টমেন্টের ১জন কর্মকর্তা আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন রিসোর্টটির এডমিন অফিসার মো.মাহমুদ।
ভুক্তভোগি শামীম আহমদ গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্ট এন্ড হোটেলে কর্মরত। তিনি বুধবার দুপুর ২টায় ফোনে জানান, ডাকাতদলটি ওই সড়কটি প্রায় ৪৫ মিনিট অবরুদ্ধ করে লুটপাট চালায়। পরে পুলিশ আসার আগে তারা চা বাগানের দিকে পালিয়ে যায়। আমার মোবাইল ফোন ও নগদ সাড়ে ৯ হাজার টাকা লুটে নেয়।
শামীম আহমদ আরও বলেন,ডাকাতদের মধ্যে কারো হাতে চাকু ,কারো হাতে লাঠি ও দা ছিল। ১০/১২টি গাড়ীতে লুটপাট করেছে’। আমাদেরকে মারধর করেছে। নোহা গাড়ী,প্রাইভেট কার ও সিএনজি গাড়ীর যাত্রীদের মারধর করে টাকা লুটপাট করে। এসময় একজন সিএনজি চালক বাড়ি শমশেরনগর এলাকায়। তিনি ৯৯৯ কল দিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা চেয়েছেন। এরপর ডাকাতরা পালিয়ে যাওয়ার প্রায় অনেকক্ষণ পর পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। তারআগে ভুক্তভুগি অনেকে যার যার গন্তব্যে চলে যায়।
এ বিষয়ে শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম অর রশিদ তালকুদার ফোনে বলেন, ‘ডাকাতি না ? ভাই ছিনতাই হয়েছে। আমরা খবর পেয়ে সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছি। এঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত, তা বের করার চেষ্টা চলছে। পরে বিস্তারিত জানাচ্ছি। তবে চোর ডাকাত দমনে পুলিশ মাঠে কাজ করছে।’
প্রসঙ্গত গত কয়েকদিন ধরে শ্রীমঙ্গল উপজেলায় হঠাৎ চুরি ডাকাতির উপদ্রব বেড়ে গেছে। গত (১২জুন) রবিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে শহরতলীর দেব এলাকায় ডমনিক সরকারের এর বাসার উঠান থেকে নতুন একটি মোটরসাইকেল চুরি করে নিয়ে যায়। গত (১৪ জুন) মঙ্গলবার ভোরারাতে শহরতলীর পশ্চিম ভাড়াউড়া এলাকায় নুরুল ইসলাম এর বাসায় চুরি সংঘঠিত হয়েছে। বাসার আসবাবপত্র তছনছ করে নগদ টাকা ও স্বর্ণ লুটে নেয় চোরচক্র।