কাজিরবাজার ডেস্ক :
দেশের ৬৪ জেলার আদালতের নিরাপত্তা বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। কুমিল্লার আদালতে এক আসামি আরেক আসামিকে ছুরি মেরে হত্যার ঘটনার পর মঙ্গলবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের তৃতীয় দিনের চতুর্থ অধিবেশন শেষে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের একথা জানান। তিনি আরও বলেন, ডিসিদের জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপক্ষের মামলা পরিচালনার জন্য পাবলিক প্রসিকিউশন সার্ভিসের ৩০ শতাংশ স্বাধীন করা হবে। পাশাপাশি আদালতের আইন কর্মকর্তাদের (পিপি ও জিপি) বেতনের আওতায় আনা হবে। বিদেশে শ্রমিক পাঠানোর ক্ষেত্রে দালালদের ধরার জন্য জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) সহযোগিতা চেয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ। আর ন্যায্যমূল্যে ধান সংগ্রহ কার্যক্রম জোরদার করতে ডিসিদের নির্দেশ দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী। পাঁচ দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক সম্মেলনের তৃতীয় দিনে গতকাল মঙ্গলবার নিজ নিজ মন্ত্রণালয়ের পক্ষে ডিসিদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে মন্ত্রীরা সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে ডিসি সম্মেলনের কার্য অধিবেশক অনুষ্ঠিত হয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম কার্য অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
ডিসিদের সঙ্গে আইনমন্ত্রীর কার্য অধিবেশন : কুমিল্লার আদালতে এক আসামি আরেক আসামিকে ছুরি মেরে হত্যার ঘটনার পর, দেশের ৬৪ জেলার আদালতের নিরাপত্তা বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। মঙ্গলবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের তৃতীয় দিনের চতুর্থ অধিবেশন শেষে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের একথা জানান। আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ এবং লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সঙ্গে জেলা প্রশাসকদের এ কার্য অধিবেশন হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।
সোমবার কুমিল্লা জজ আদালতে এক আসামি আরেক আসামিকে ছুরি মেরে হত্যা করে। নিহত ফারুক এবং হামলাকারী হাসান সম্পর্কে মামাত-ফুফাত ভাই। তারা একটি মামলায় হাজিরা দিতে আদালতে এসেছিলেন। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আইনমন্ত্রী বলেন, দুই আসামি হচ্ছেন মামাত-ফুফাত ভাই। তাদের সঙ্গে আগেই মনোমালিন্য, ঝগড়াঝাটি ছিল এবং একে অপরকে দোষারোপ করা হচ্ছিল যে, এই হত্যা মামলায় একজন আরেকজনকে বলেছিল, তোমাদের কারণে আমরা জড়িয়ে গেছি।
আনিসুল হক বলেন, আমি আজ কুমিল্লার এসপির সঙ্গে কথা বলেছি। আদালতের নিরাপত্তা বাড়ানোর ব্যবস্থা করব। সেটা শুধু কুমিল্লার আদালতের না, ৬৪ জেলার আদালতের নিরাপত্তা বাড়াব।
এখন যে প্রসিকিউশনস সার্ভিস রয়েছে সেখান থেকে ৩০ শতাংশ স্বাধীন করার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে জানিয়ে আইনমন্ত্রী আরও বলেন, আদালতের আইন কর্মকর্তাদের (পিপি ও জিপি) বেতনের আওতায় আনার বিষয়টি বিবেচনা করছি। এই প্রস্তাব আমি অলরেডি অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। এসবই ডিসিদের জানানো হয়েছে।
হাইকোর্টের সঙ্গে ডিসিদের যোগাযোগ কমিয়ে আনার লক্ষ্যে সহকারী এ্যাটর্নি জেনারেলদের নিয়ে একটি টিম গঠন করা হবে জানিয়ে আনিসুল হক বলেন, হাইকোর্টে যেসব মামলা মোকাদ্দমা চলমান আছে, সেগুলোতে ডিসিদের সঙ্গে একটি কমিউনিকেশন গ্যাপ আছে, সেটা আলোচনায় বেরিয়ে এসেছে। এই কমিউনিকেশন গ্যাপ দূরীকরণে যে পদক্ষেপগুলো নিতে হবে, আমি সেগুলো ডিসিদের বলেছি। পদক্ষেপগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে হাইকোর্টে যেসব মামলা হয়, সেসব মামলা সম্পর্কে যেন ডিসিরা ত্বরিত জানতে পারেন। আমি এখন বিষয়টি নিয়ে বিজ্ঞ এ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে কথা বলব। পাঁচ থেকে সাতজন সহকারী এ্যাটর্নি জেনারেলের সমন্বয়ে একটি টিম গঠন করে দেব। তারা হাইকোর্টের মামলাগুলো সম্পর্কে ৬৪ জেলার প্রশাসকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবে। এতে কমিউনিকেশন বাড়বে এবং মামলা ত্বরিত নিষ্পত্তি হওয়ার একটি ব্যবস্থা হবে।
প্রধান বিচারপতির সঙ্গে ডিসিদের বৈঠকের বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, সেটা আমার জানার কথা না। আমার মনে হয় ডিসিদের সঙ্গে প্রধান বিচারপতির প্রথম আলোচনা। প্রধান বিচারপতি সে ধরনের দিক নির্দেশনা দেবেন। এটাই হবে ভবিষ্যতে আলাপ আলোচনার একটি প্রেক্ষিত।
জেলা প্রশাসকদের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার চাওয়ার বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, আমি বলেছি এই ক্ষমতা দেয়ার জন্য আইন সংশোধন করতে হবে। আইন সংশোধন করতে হলে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে দেখা হবে প্রয়োজন কি-না।
ডিসিরা প্রতিবছর সম্মেলনে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার চান, বিষয়টি সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক, এটা জেনেও তারা কেন চান- এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ডিসিরা প্রত্যেকবারই জানতে চান, এটা কেন হচ্ছে না। তাই তারা বিষয়টি উত্থাপন করেন। আমরাও বলি এটি সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। অনেক সময় দেখা যায়, গতবার যিনি ডিসি ছিলেন, এবার তিনি নেই। হয়তো এ কারণে তাদের কাছে এ প্রশ্ন উঠে। প্রশ্ন উঠলে আমাদের প্রত্যেকবারই এই জবাব দিতে কোন আপত্তি নেই।
কুমিল্লার আদালতে এক আসামির ছুরিকাঘাতে আরেক আসামির মৃত্যুর বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, এক আসামি আরেক আসামি মামাত-ফুফাত ভাই। যে হত্যা মামলায় তারা আসামি, সেটা নিয়ে একজন আরেকজনকে বলেছিল তোমাদের কারণে আমি এই মামলায় জড়িয়েছি। এ ঘটনার পর সারাদেশে আদালতের নিরাপত্তা বাড়ানোর ব্যবস্থা করা হবে।
সম্মেলনের অংশ হিসেবে প্রথমবারের মতো গতকাল বিকেলে ডিসিরা সুপ্রীমকোর্ট ভবনে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
দালালদের ধরতে সহযোগিতা চাওয়া : প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী বলেন, আমি কোন নির্দেশনা দিইনি। সাহায্য চেয়েছি। তারা যেন দালালদের ধরেন। দালালরা গরিব মানুষদের লুটেপুটে দেড় লাখ থেকে সাত লাখ টাকা নেয়। এভাবে টাকা দেয়ায় প্রবাসী কর্মীরা টাকা ওঠাতে অবৈধভাবে বিদেশে থেকে যান। এটা দেশের জন্যও খারাপ। তাই গরিব মানুষেরা যেন নিরাপদে বিদেশে যেতে পারেন সে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
বিদেশগামীদের নিবন্ধনের ব্যবস্থা করার কাজে সরকার হাত দিয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী। অবৈধভাবে বিদেশ যাত্রা বন্ধের ওপরে গুরুত্বারোপ করে বলেন, যারা এভাবে অবৈধভাবে নিয়ে যাবে তাদের ধরতে পারলে ছাড়া হবে না।
ন্যায্যমূল্যে ধান সংগ্রহ কার্যক্রম জোরদারের নির্দেশ : ডিসিদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার সাংবাদিকদের বলেছেন, আমরা এবার চার লাখ টন (বোরো) ধান কিনব। অথচ গতকাল পর্যন্ত এক লাখ ১৫ হাজার টন ধান কেনা হয়েছে।
এজন্য তিনি ন্যায্যমূল্যে ধান সংগ্রহে ডিসিদের কার্যক্রম আরও জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন। খাদ্য মন্ত্রণালয় এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ডিসিদের এ কার্য অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।
খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ধান সংগ্রহ কার্যক্রম জোরদার করা এবং আমাদের লোকেরা যাতে আরও বেশি এ্যাকটিভ হয়, ডিসি সাহেবরা যাতে নির্বাহী অফিসারদের মাঠে নামিয়ে দিয়ে কৃষকদের কাছ থেকে ধান কিনতে পারেন, সে জন্য আমরা নির্দেশনা দিয়েছি।
প্রত্যেক জেলায় নিরাপদ খাদ্যের অফিস প্রতিষ্ঠা করা হবে জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, মানুষ যাতে ভেজালমুক্ত খাবার গ্রহণ করতে পারে, সে জন্য তাদের আরও কঠোর হওয়ার জন্য আমরা নির্দেশ দিয়েছি।
এখন দেশের বিভিন্ন জেলায় বন্যা হচ্ছে। এজন্য আগামীকে কোন খাদ্য সঙ্কটের আশঙ্কা আছে কি না- জানতে চাইলে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, কোন সঙ্কট নেই। আমাদের খাদ্যের পর্যাপ্ত মজুদ আছে। খাদ্যগুদামে শুধু খাদ্যই নয়, ত্রাণও পর্যাপ্ত মজুদ আছে। যেকোন অবস্থা মোকাবেলা করতে আমরা প্রস্তুত আছি।
প্রাণহানি ঠেকাতে বজ্রপাত নিরোধক টাওয়ার নির্মাণ হচ্ছে : ডিসিদের সঙ্গে কার্য অধিবেশন শেষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডাঃ এনামুর রহমান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো চিহ্নিত করে বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে বজ্রপাত নিরোধক টাওয়ার নির্মাণ করার কাজ চলছে। বজ্রপাতে প্রতিদিনই অনেক মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে। প্রাণহানি ঠেকাতে বজ্রপাত নিরোধক টাওয়ার নির্মাণে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, কয়েকটি কোম্পানির সঙ্গে আলোচনাও করেছি। ওয়ার্কশপও আরম্ভ করেছি।
শিশুশ্রম নিরসনে ডিসিদের সহযোগিতা চান শ্রম প্রতিমন্ত্রী : নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকরণে এবং ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরসনে ডিসিদের সহযোগিতা চেয়েছেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান। গতকাল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে ডিসি সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ সহযোগিতা চান।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘২০২১ সালে মধ্যম আয়ের দেশে নিরাপদ কর্মক্ষেত্র, ২০৩০ সালের মধ্যে শিশুশ্রম মুক্ত, ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশ গড়তে ডিসিদের বড় ভূমিকা পালন করতে হবে। শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরসন প্রকল্পের ৪র্থ পর্যায়ে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত এক লাখ শিশুকে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ঝুঁকিমুক্ত জীবনে ফিরিয়ে আনা হবে। এসডিজিকে সামনে রেখে ২০৩০ সালের মধ্যে সব ধরনের শিশুশ্রম মুক্ত দেশ গড়তে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সরকার ৩৮টি কাজকে শিশুদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে নিষিদ্ধ করেছে। ইতোমধ্যে তৈরি পোশাক এবং চিংড়ি প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পকে শিশুশ্রমমুক্ত করা হয়েছে।
যত্রতত্র শিল্প কারখানা নয় ; শিল্পমন্ত্রী : দেশে যত্রতত্র শিল্প কারখানা করতে দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হূমায়ুন। তিনি বলেন, আমাদের পর্যাপ্ত জায়গা রয়েছে। শিল্প স্থাপনের জন্য কোন কৃষি জমি নষ্ট করতে দেয়া হবে না। মঙ্গলবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে সম্মেলনের তৃতীয় দিনের তৃতীয় অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, কৃষি জমির বিষয়ে আমাদের আইনেই আছে, যত্রতত্র শিল্প-কারখানা করা যাবে না। আমাদের বিসিক শিল্প নগরী আছে, বস্ত্র মিলসহ অনেক শিল্প কারখানা আছে। সেজন্য আমাদের অনেক জায়গার প্রয়োজন হয়। এ জন্য আমরা অনেক কৃষি জমিও নষ্ট করছি।
তিনি বলেন, আমরা শিল্প এলাকাগুলো পরিকল্পিতভাবেই করছি। কৃষি জমিতে কোন শিল্প এলাকা হচ্ছে না। আপনারা জানেন, আমাদের জমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে। তাই পরিকল্পিতভাবে শিল্পে পার্ক করছি। এসব পরিকল্পিত শিল্প এলাকাগুলোয় অবশ্যই বিদ্যুত ও গ্যাস সংযোগ দেয়া হবে। এ ছাড়া সরকারের ঘরে ঘরে বিদ্যুত দেয়ার নির্দেশনাতো আছেই।
অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠা অঞ্চলগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত কি জানতে চাইলে তিনি বলেন, সময়মতো আমরা ধীরে ধীরে এগুলো সরিয়ে নেব। আমাদের অনেক জায়গা আছে, তাদের সেখানে সরিয়ে নেয়া হবে। এখানে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে, তাই রাতারাতি সরিয়ে নেয়া যাবে না। তাহলে অনেকে চাকরিহীন হয়ে পড়বে। আমরাতো বেকার সমস্যা দূর করতে চাই।
কৃষি জমি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমাদের কৃষি জমি নিয়ে আইন আছে। কৃষি জমিতে শিল্প-কারখানা স্থাপন হতে দেয়া হবে না। এ জন্য যত্রতত্র শিল্প কারখানা আমরা করতে দেব না। বিভিন্ন স্থানে গড়ে ওঠা অপরিকল্পিত শিল্প নগরীকে যথাস্থানে সরিয়ে নেয়া হবে। আমাদের জমি অনেক উর্বর। কৃষি ক্ষেত্রে সরকার বিশাল সফলতা পেয়েছে।
ভেজাল ও নকল প্রতিরোধে কী নির্দেশনা দেয়া হয়েছে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, জেলা প্রশাসকরা নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছেন। তারা আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছেন। তারা যেখানে ভেজাল ও নকল পণ্য পাবে সেগুলো ধরবে। ভেজাল ও নকল নিয়ন্ত্রণে সরকার জিরো টলারেন্স নীতিতে এগোচ্ছে। পাশাপাশি আমাদের ভেজালবিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে।