শাবি থেকে সংবাদদাতা :
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৯-২০ অর্থ বছরে মোট ১৩৯ কোটি ৭৩ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর ক¤িপউটার সফটওয়্যারে ৪০০ শতাংশ, অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণ খাতে ৪০০ শতাংশ, গবেষণা খাতে ৩৮ শতাংশ, সেমিনার কনফারেন্সে ৬৭ শতাংশ, পরীক্ষা সংক্রান্ত ব্যয়ে ৭৬ শতাংশ, মেরামত ও সংরক্ষণে ৬০ শতাংশ বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়েছে। এদিকে কমেছে বিশেষ মূলধন অনুদান ও পেনশনের পরিমান।
সোমবার বিকাল সাড়ে পাঁচটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে বাজেট ঘোষণা করেন উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন।এ সময় উপস্থিত ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলাম, হিসাব পরিচালক আ ন ম জয়নাল আবেদীন।
এছাড়া ঘোষিত বাজেটে, ২০১৯-২০ অর্থ বছরের মোট ১৩৯ কোটি ৭৩ লাখ টাকার মধ্যে বেতন-ভাতা ও পেনশন খাতে ৮৬ কোটি ৪৮ লাখ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে (মোট বাজেটের ৬১.৮৯ শতাংশ), যা গত অর্থবছরে ছিল ৯৩ কোটি ৫ লাখ টাকা। এবারের বাজেটে পণ্য ও সেবা বাবদ খাতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৩০ কোটি ৭৮ লক্ষ টাকা, তারমধ্যে ৪০০ শতাংশ বৃদ্ধিতে অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণ খাতে ৪ কোটি টাকা, ৩৮ শতাংশ বৃদ্ধিতে গবেষণায় ৪ কোটি টাকা, সেমিনার কনফারেন্সে ৬৭ শতাংশ বৃদ্ধিতে ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিশেষ মূলধন অনুদানে ক¤িপউটার সফটওয়্যার খাতে ৪০০ শতাংশ বৃদ্ধিতে ৬০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
অন্যদিকে এবারের বাজেটে বেশকিছু খাতে বিশেষ মঞ্জুরী পাওয়া গেছে বলে শাবি ভিসি নিশ্চিত করেন। এর মধ্যে উলে¬খযোগ্য হলো ডিজিটাল লাইব্রেরীর জন্য ২০ লক্ষ টাকা, মোটরযান খাতে দুটি বাস, ১ টি মাইক্রোবাস এবং ১ টি এম্বুলেন্স ক্রয় বাবদ ১ কোটি ৯৫ লক্ষ টাকা, গোলচত্বর মেরামত বাবদ ৩০ লক্ষ টাকা, ক্যা¤পাসে বসার জায়গা বাবদ ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে।
বাজেট ঘোষণার পর শাবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ বাজেটে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার বিষয়টি প্রাধান্য দেওয়ার চেষ্টা করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও গবেষণা খাতে বরাদ্দের পরিমাণ বৃদ্ধি এবং আরো বরাদ্দের চেষ্টা করছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলাম এ সময় বলেন, প্রতিনিয়ত বাজেটের মান বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই সাথে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে বাজেটে আর্থিক স্বচ্ছতার দিক দিয়ে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম সারির দিকে রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।