মদিনা মার্কেটে জুয়ার বোর্ডে অভিযান, ৯ জুয়াড়ি আটক

112
মদিনা মার্কেট থেকে আটক ৯ জুয়াড়ী।
মদিনা মার্কেট জুয়ার আসরে পুুলিশের অভিযানের কিছু চিত্র।

স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীতে ভারতীয় তীর খেলা, তিনতাস, গুটিসহ বিভিন্ন রকমের অবৈধ জুয়া খেলার বোর্ড দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। গতকাল সোমবার বিকেল পৌনে ৫ টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মদীনা মার্কেট কালীবাড়ি এলাকায় এ ধরনের একটি অবৈধ জুয়ার বোর্ডে অভিযান চালান এসএমপি উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) মোঃ আজহাবার আলী শেখ পিপিএম।
অভিযানকালে জুয়া বোর্ডের পরিচালক ছাত্রদল নেতা জুনেদসহ ৯ জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃত জুয়াড়ীরা হচ্ছে, নগরীর আখালিয়া নেহারীপাড়ার মো: মো. মুছাব্বিরের পুত্র মোঃ জুনেদ আহমদ (৩৫), দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার বাবনগাঁও গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের পুত্র মোঃ বাহার উদ্দিন(৩৫), সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই থানার কুরধনপুর গ্রামের মৃত নিধীর সরকারের পুত্র মৃনাল সরকার (১৮), দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার বাবনগাঁও গ্রামের মৃত মদরিছ আলীর পুত্র বর্তমানে আখালিয়া নেহারীপাড়ার বাসিন্দা মোঃ নাসির উদ্দিন (৩৭), নগরীর চৌকিদেখি এলাকার মো: বদরুল ইসলামের পুত্র শহিদুল ইসলাম পাপলু (২১), বিয়ানীবাজার থানার টিকরপাড়ার মো: আলম মিয়ার পুত্র বর্তমানে পাঠানটুলা শ্রাবণী আ/এ’র বাসিন্দা মোঃ সালমান (১৮), জালালাবাদ থানার মইয়ারচর গ্রামের মৃত ময়না মিয়া খানের পুত্র মোঃ দিলাল খান (৪০), নগরীর ধানুহাটারপাড়ের মো: ইদ্রিস আলীর পুত্র মোঃ উজ্জল মিয়া(১৯) ও সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা থানার রাজারপুর গ্রামের মৃত লাল মিয়ার পুত্র বর্তমানে আখালিয়া নেহারীপাড়ার বাসিন্দা মোঃ তানভীর হোসেন (২০)। অভিযানে ৩টি ব্যাটারীচালিত অটোরিক্সা ও জুনেদের ব্যবহৃত (সিলেট-ল-১১-৯৩০৫) নং এফজেড একটি মোটর সাইকেলসহ তীর জুয়া খেলার বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করে পুলিশ।
জানা গেছে, প্রতিদিন এই খেলার মাধ্যমে এলাকার যুব সমাজ, স্কুল ও কলেজ পড়–য়ারাও প্রতারিত হয়ে আসছিল। এদের বিরুদ্ধে এলাকার মানুষ ভয়ে মুখ খোলার সাহস পেতো না। সোমবার এমন খবর পেয়ে ডিসি উত্তর আজবাহার আলী শেখ পিপিএম সোমবার একদল পুলিশ নিয়ে মদিনা মার্কেট কালিবাড়ী রোডের নিবাস-৫৬/৬ ব্লক-সি প্লট এর পিছনে প্রবাসী শাকিল মিয়ার প্লটের উপর নির্মিত ছাপড়া ঘরে জুনেদের অবৈধ জুয়ার আস্তানা অভিযান চালিয়ে ৯ জুয়াড়ীকে আটক করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে নগদ ২ হাজার ৫শ’ ৯০ টাকা, তীর খেলায় ব্যবহৃত বিভিন্ন কাগজ পত্র ও ৮টি বিভিন্ন মডেলের মোবাইল ফোন এবং ১টি ক্যালকুলেটর জব্দ করা করে থানায় নিয়ে আসা হয়। পুলিশ অবৈধ এই জুয়া খেলার আস্তানা গুঁড়িয়ে দেয়। আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, জুনেদের নামে জালালাবাদ থানায় ৩টি মামলা রয়েছে। জুনেদ পরিচালিত এই জুয়ার বোর্ডে দীর্ঘদিন থেকে ভারতীয় তীর খেলা, তিনতাশ, গুটিসহ বিভিন্ন রকমের জুয়া খেলা পরিচালিত হয়ে আসছিল।