বড়লেখা থেকে সংবাদদাতা :
মৌলভীবাজারেরর বড়লেখায় পান্না বেগম (৩০) নামে এক গৃহবধূকে তার স্বামী ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সোমবার সকাল ৮টার দিকে উপজেলার নিজবাহাদুরপুর ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর নিহতের স্বামী মতছিন আলী পলাতক রয়েছেন।
থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১০ বছর আগে বড়লেখা উপজেলার কলারতলিপার গ্রামের মাখই মিয়ার ছেলে মতছিন আলীর সাথে বিয়ানীবাজার উপজেলার পাড়িয়াবহর গ্রামের ইসমাইল আলীর মেয়ে পান্না বেগমের বিয়ে হয়। পরিবারে তাদের দুটি সন্তান রয়েছে। প্রায় ৪ মাস আগে স্বামীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে দুই বছরের শিশু সন্তানকে নিয়ে বাবার বাড়ি পাড়িয়াবহরে চলে যান পান্না বেগম। ওই সময় বড় মেয়ে সুহানাকে (৭) শশুর বাড়ির লোকজন রেখে দেয়।
এদিকে সম্প্রতি সুহানা ইটাউরী গ্রামে তার ফুফুর বাড়িতে বেড়াতে আসে। এখানে এসে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। মেয়ে সুহানার অসুস্থতার খবর পেয়ে পেয়ে পান্না বেগম তাকে দেখতে ইটাউরীতে আসেন।
সোমবার সকাল ৭টার দিকে সুহানাকে স্থানীয় এক হুজুরের কাছে নিয়ে যাওয়ার সময় ইটাউরী এলাকায় পান্নার স্বামী মতছিন তাকে বাঁধা দেন। একপর্যায়ে মতছিন পান্নাকে তার সাথে থাকা ছুরি দিয়ে উপর্যপুরি আঘাত করেন। পরে বিয়ানীবাজার হাসপাতালে নেওয়ার পথে পান্নার মৃত্যু হয়।
বড়লেখা থানার এসআই সুব্রত কুমার দাস বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পারিবারিক কলহের কারণে পান্না বেগমকে তার স্বামী মতছিন ছুরিঘাত করে হত্যা করেছেন বলে আমরা প্রাথমিকভাবে জেনেছি। নিহতের মরদেহ বিয়ানীবাজার হাসপাতালে রয়েছে। পুলিশ লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেছে। পান্নার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ঘটনার পর নিহতের স্বামী পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।