ছাতক থেকে সংবাদদাতা :
ছাতক পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান চৌধুরী সজিব হত্যাচেষ্টা মামলায় শাহীন চৌধুরীসহ ৬ আসামীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন বিচারক। রবিবার (৯ জুন) দুপুরে সুনামগঞ্জ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারকের অনুপস্থিতিতে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. বিলাল আহমদ আসামীদের করা জামিন আবেদন নাকচ করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
শাহীন চৌধুরী গত ১৪ মে ছাতক পৌর শহরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিহতের ঘটনায় দায়ের করা হত্যা, অস্ত্র ও বিস্ফোরক ও পুলিশ এ্যসল্ট মামলার প্রধান আসামী। এর আগেও তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের অভিযোগ মামলা রয়েছে।
কারাগারে পাঠানো আসামীরা হচ্ছেন ছাতক পৌরশহরের বাগবাড়ি গ্রামের মো. মাসুক চৌধুরীর পুত্র মো. সাগর চৌধুরী, মৃত আব্দুল খালিকের পুত্র শাহীন চৌধুরী, ছাতক বাজারের মো. শানুরের পুত্র মো. জুবায়ের আহমদ সাদ্দাম, মন্ডলীভোগের মো. সোনাধনের পুত্র মো. নয়ন মিয়া, মো. সুমন মিয়া ও মৃত আব্দুল খালিকের পুত্র মো. ইকবাল মিয়া চৌধুরী ইকু।
এছাড়া পরীক্ষা ও অসুস্থতাসহ বিভিন্ন কারণে এ মামলার এজহারভূক্ত আরো ৫ আসামী জামিনে রয়েছেন। এরা হচ্ছেন বাগবাড়ির মৃত আব্দুল আজিজের পুত্র মো. মাসুক চৌধুরী, ছাতক বাজারের মো. শানুর মিয়ার পুত্র মো. মুয়াজ্জের আহমদ, মন্ডলীভোগের ওয়াব আলীর পুত্র মো. রফিকুল ইসলাম সাঈদ, বাগবাড়ির মৃত আব্দুল খালিকের পুত্র মো. শামীম চৌধুরী ও মো. মাসুক চৌধুরীর পুত্র মো. সাকিব চৌধুরী।
বাদি পক্ষে আইনজীবী হিসেবে ছিলেন এডভোকেট আফতাব উদ্দিন, এডভোকেট নিরঞ্জন দাস তালুকদার, এডভোকেট রোকেশ লেইচ ও এডভোকেট সাজ্জাদ হোসেন।
গত ৪ মার্চ সালিশ বৈঠকে হত্যার উদ্দেশ্যে একাধিকস্থানে জখম করা হয় ছাত্রলীগ নেতা সজিবকে। এসময় তার আরো ৩ সহোদরও আহত হন। এ ঘটনায় ৭ মার্চ বৃহস্পতিবার সজিবের পিতা মো. ছালিক চৌধুরী রোকন ১১ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। পলাতক থেকে তারা হাইকোর্ট থেকে জামিন নেন। রবিবার আদালতে হাজির হয়ে আবারো জামিন আবেদন করলে বিচারক তা নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এজহার সূত্রে জানা যায়, গত ৩ মার্চ রোববার কুমিল্লা ও চাদপুরগামী বাসের যাত্রী ডাকা নিয়ে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হলে পরদিন ৪ মার্চ সোমবার রাত ৯টায় সালিশ বৈঠকে বসেন স্থানীয় মুরব্বীরা। বৈঠকে আসামীরা ছাত্রলীগ নেতা কামরুল হাসান চৌধুরী সজিব, তার সহোদর আল আমিন চৌধুরী জনি, তানজিদ চৌধুরী ও মাসরুহ চৌধুরী রাজিবের উপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এতে সজিব ও তার তিন সহোদর উপর্যুপরি আঘাতে একাধিক স্থানে রক্তাক্ত জখম হন।
পরে আশপাশের লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। মারাত্মক আহত থাকায় সজিবসহ তিনজনকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেলে পাঠায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। গুরুতর আহত হওয়ায় ওইদিন রাতেই সজিবের পাকস্থলিতে ৫ ঘন্টা অস্ত্রপচার করেন চিকিৎসকরা। তিনি ২২ দিন হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।