সিলেট-৩ আসনের এমপি, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য, মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী বলেছেন, পরের জন্য জীবন উৎসর্গের মধ্যে মানবজীবনের স্বার্থকতা নিহিত রয়েছে। আদর্শ শিক্ষকরা জীবনের দীর্ঘ সময় শিক্ষার্থী ও প্রাতিষ্ঠানিক কল্যাণে ব্যয় করেন। শিক্ষার্থীদের মনোজগতকে আলোকিত করে তুলে, তাদের স্বপ্নের পথে হেঁটে যেতে সহযোগিতা করেন। শিক্ষার্থীদের সাফল্যে আদর্শ শিক্ষকরা মুগ্ধ হন, বিমোহিত হন। একই সাথে তাদের দীর্ঘজীবনের ত্যাগ ও শ্রমের মূল্যায়ন হয়। তিনি আরো বলেন, প্রফেসর ড. মো. গোলাম শাহি আলম দেশের অন্যতম একজন আদর্শ শিক্ষক। তার আরোহিত জ্ঞান ও সাফল্যের মাধ্যমে শুধুমাত্র এই বিশ্ববিদ্যালয় নয়, দেশের শিক্ষাঙ্গনও উপকৃত হবে।
রবিবার বেলা সাড়ে ১১টায় সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. গোলাম শাহি আলমকে বাংলাদেশ একাডেমি অব এগ্রিকালচার কর্তৃক ‘প্রাণী সম্পদ বিষয়ে গবেষণা ও উন্নয়নে’ অনন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ স্বর্ণপদক লাভ করায় তাকে দেয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়টির অফিসার্স পরিষদের উদ্যোগে সিকৃবি অফিসার্স পরিষদের সভাপতি কৃষিবিদ মো. সাজিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত অতিথির বক্তব্য রাখেন ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. গোলাম শাহি আলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. বদরুল ইসলাম শোয়েব, সিকৃবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মতিয়ার রহমান হাওলাদার, গণতান্ত্রিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন।
পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. সুহেল আহমদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এডিশনাল রেজিস্ট্রার ডা. খন্দকার মাজহারুল আনোয়ার। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ডেপুটি রেজিস্ট্রার এ কে এম ফজলুর রহমান, সিকৃবি ছাত্রলীগের সভাপতি ডা. শামীম মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক ডা. ঋতিক দেব, কর্মচারী পরিষদের সভাপতি শাহ আলম সুরুক। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদীয় ডিন, দপ্তর ও বিভাগীয় প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।