মনির উদ্দিন চৌধুরী ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী – অধ্যক্ষ মাসউদ খান

52

ভাষাসৈনিক অধ্যক্ষ মাসউদ খান বলেছেন, মনির উদ্দিন চৌধুরী বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ছিলেন। সমাজকে আলোকিত করার প্রত্যয় নিয়ে সারাজীবন সাহিত্য সাধনা করে গেছেন। অমায়িক, বিনয়ী এবং শান্তশিষ্ট মনির উদ্দিন চৌধুরী তাঁর চিন্তা, চেতনা এবং মূল্যবোধে পরিশীলিত সমাজের চিত্র অঙ্কন করেছেন। নতুন প্রজন্মকে তাঁর চিন্তা-চেতনা এবং মৌলিকত্বে প্রভাবিত হয়ে সাহিত্য সাধনা করতে হবে।
সিলেট মোবাইল পাঠাগার-এর উদ্যোগে এর প্রতিষ্ঠাতা, ইতিহাসবেত্তা সংগঠক মনির উদ্দিন চৌধুরী’র ১৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রবীণ সাংবাদিক মুহম্মদ বশিরুদ্দিনের সভাপতিত্বে গত শনিবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ইলেক্ট্রিক সাপ্লাইস্থ মেট্রোপলিটন ল কলেজের মোবাইল পাঠাগার মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মদনমোহন কলেজ, সিলেট-এর সাবেক অধ্যক্ষ লে. কর্নেল (অব.) এম. আতাউর রহমান পীর, প্রবীণ সাংবাদিক কলামিস্ট আফতাব চৌধুরী।
গল্পকার তাসলিমা খানম বীথির সঞ্চালনায় সভায় স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক এম এ হান্নান সেলিম, সিলেট কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের সহ সভাপতি গল্পকার সেলিম আউয়াল, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক দেওয়ান মাহমুদ রাজা চৌধুরী, কলামিস্ট বেলাল আহমদ চৌধুরী, অধ্যাপক কবি বাছিত ইবনে হাবীব, এডভোকেট আব্দুল মালিক, কবি ইসমত হানিফা চৌধুরী, চৌধুরী মো. সুহেল, মনির উদ্দিন চৌধুরীর ভাই মহিউদ্দিন মিনার, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর কবি নাজনীন আক্তার কণা।
সভায় লেখাপাঠে অংশ নেন উপন্যাসিক সিরাজুল হক, কবি মুহাম্মদ আব্দুল হক, কবি সরওয়ার ফারুকী, কবি কামাল আহমদ, ছড়াকার তারেশ কাান্তি তালুকদার, কবি মো. আব্দুল বাছিত, ছড়াকার লোকমান হাফিজ, জয়নাল আবেদীন বেগ, এম. আশরাফ আলী, জুনায়েদুর রহমান, কবি মাহফুজ জোহা, অজয় বৈদ্য অন্তর, আবু যর মাহতাবী, কুবাদ বখত চৌধুরী রুবেল, নূর মোহাম্মদ চৌধুরী, সৈয়দ মুক্তদা হামিদ প্রমুখ। সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন কবি কামাল আহমদ এবং মনির উদ্দিন চৌধুরীর রুহের মাগফিরাত কামনায় মোনাজাত পরিচালনা করেন হাফিজ মাওলানা নওফেল আহমদ চৌধুরী। সভায় সিলেটের সাহিত্য-সংস্কৃতি অঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি