মৌলভীবাজার থেকে সংবাদদাতা :
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে চতুর্থ শ্রেণীর এক ধর্ষিত ছাত্রীকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করার প্রতিবাদ করতে গিয়ে হত্যার শিকার চাচা সিরাজ মিয়া ‘খুনী’ আহাদ মিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
২ মে বৃহস্পতিবার উপজেলার লুইয়ারকুল গ্রাম থেকে ভোররাতে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছোড়াও উদ্ধার করা হয়।
শ্রীমঙ্গল থানার ওসি কেএম নজরুল ইসলাম আহাদ মিয়াকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছোড়া উদ্ধার করা হয়েছে। আহাদকে ধরিয়ে দিতে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছিল শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ। পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।
প্রসঙ্গত, চতুর্থ শ্রেণির ধর্ষিত ছাত্রীর বাবার সামনে বাজে মন্তব্যে করে উপজেলার ভূনবীর ইউনিয়নে পশ্চিম লইয়ারকুল গ্রামের চেরাগ আলীর ছেলে আহাদ মিয়া। এ সময় মেয়ের বাবা ও চাচা সিরাজ মিয়া প্রতিবাদ করলে আহাদ তাদের ছুরিকাঘাত করে। এতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে সিরাজ মিয়া নিহত হন।
বুধবার (১ মে) রাত ৯টায় শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভূনবীর ইউনিয়নের পশ্চিম লইয়ারকুল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মেয়ের বাবা রহমান মিয়াকে গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শ্রীমঙ্গল থানার ওসি (তদন্ত) সোহেল রানা বুধবার বলেছিলেন, ধর্ষিত স্কুল ছাত্রীর মেয়ের বাবা ও চাচাকে দেখে নানা অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করে আহাদ। এ সময় তারা প্রতিবাদ করলে আহাদ তাদের ছুরিকাঘাত করে। একে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়ে মেয়েটির চাচা সিরাজ মিয়ার মৃত্যু হয়। আর মেয়েটির বাবাকে উদ্ধার করে প্রথমে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নেয়া হয়।
পরে সেখান থেকে তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয় বলে তিনি জানান।
রাত সাড়ে ১১টায় মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মো শাহজালাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এর আগে ৩০ এপ্রিল মঙ্গলবার শ্রীমঙ্গলে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রী (৯) কে ধর্ষণের অভিযোগ উঠে। এ ঘটনায় জামাল মিয়া (২০) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।