কাজিরবাজার ডেস্ক :
হজ্বযাত্রীদের দুর্ভোগ কমাতে সৌদি আরব হজব্যবস্থাপানায় বিভিন্ন পরিবর্তন আনছে। বাংলাদেশি হজ্বযাত্রীদের জন্য তারা বিশেষ ‘ইমিগ্রেশন ব্যবস্থা’ চালু করতে যাচ্ছে। এখন থেকে বাংলাদেশি হজ্বযাত্রীরা ঢাকায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবেন।
এতে করে বাংলাদেশি হজ্বযাত্রীরা দীর্ঘ সফরের পর ইমিগ্রেশনের জন্য আবার ধকল পোহাতে হবে না। বিগত বছরগুলোতে সৌদি আরবে বিমান অবতরণের পর বিমানের ভেতরেই ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করানো হতো। তখন এই কাজ শেষ করতে দীর্ঘ সময় লেগে যেতো। অনেক সময় হজ্বযাত্রীরা এয়ারপোর্টে বিমানের ভেতরে ৬ ঘন্টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতো। সৌদি আরবের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম আরব নিউজে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এমনটাই জানা গেছে।
ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব আনিছুর রহমান বলেন, এ বছর থেকে বাংলাদেশের হজযাত্রীরা দেশের প্রধান বিমানবন্দরেই ইমিগ্রেশনবিষয়ক আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে পারবেন।
বাংলাদেশ ও সৌদি সরকারের যৌথ আলোচনা : বাংলাদেশ ও সৌদি সরকারের যৌথ আলোচনার প্রেক্ষিতে এ ধরনের ব্যবস্থাপনা নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। যাতে বাংলাদেশের ১ লাখ ২৭ হাজার হজ্বযাত্রী সৌদি আরবে ইমিগ্রেশনের বিনা দুর্ভোগে পবিত্র হজ পালনে সৌদি গিয়ে পৌঁছুতে পারেন। এতে করে বাংলাদেশের হজযাত্রীরা এ বছর থেকে প্রচুর সময় ব্যয় ও দুর্ভোগ থেকে রক্ষা পাবেন।
বাংলাদেশি হজ্বযাত্রীদের অর্ধেক সংখ্যকই বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে করে সৌদি গমন করেন। বাকিরা সৌদি এয়ারলাইন্সের বিশেষ বিশেষ ফ্লাইটের মাধ্যমে সৌদি আরবে যাবেন। আনিসুর রহমান মঙ্গলবার (০৯ এপ্রিল) বলেন, বাংলাদেশি হজ্বযাত্রীরা এখন থেকে বিমান অবতরণের পরপর জেট-ব্রিজের মাধ্যমে সহজেই সৌদি আরবে প্রবেশ করতে পারবেন। তারা কোনো ধরনের আনুষ্ঠানিকতার মুখোমুখি হতে হবে না।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর সৌদি সফর : সৌদি সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে প্রায় দুই বছর ধরে আলোচনা অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ সরকার। ধর্ম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বিষয়টি এগিয়ে নিতে ফেব্রুয়ারিতে সৌদি সফরেও গিয়েছেন। হজ্বযাত্রীদের সহযোগিতায় বাংলাদেশ সরকারের এ অনুরোধ গ্রহণ সৌদি কর্তৃপক্ষ করেছে বলে নিশ্চিত করেছেন ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব আনিছুর রহমান।
বাংলাদেশে ১৪ সস্যের সৌদি প্রতিনিধি দল : বুধবার (১০ এপ্রিল) সৌদি আরবের উচ্চ পর্যায়ের ১৪ সস্যের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে আসার কথা রয়েছে। বিষয়টি চূড়ান্ত করতে তারা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবেন। সৌদির পাসপোর্ট ও অভিবাসন বিভাগের প্রধান প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে থাকবেন। এছাড়াও সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ-বিষয়ক মন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট সচিবরা এ দলে থাকার কথা রয়েছে।
সচিব আনিসুর রহমানের বক্তব্য অনুযায়ী বুধবার (১০ এপ্রিল) বিকেলেই আলোচনা শুরু হওয়ার কথা। প্রতিনিধি দল ঢাকা বিমানবন্দরের সুযোগ-সুবিধাগুলো পরিদর্শন করবেন। পরদিন তারা হজ্ব ক্যাম্পে যাবেন। এই সফরের পরই সব কিছু চূড়ান্ত হবে। প্রতিনিধি দল শনিবার (১৩ এপ্রিল) সৌদির উদ্দেশে রওয়ানা দেবেন।