কানাইঘাট থেকে সংবাদদাতা :
পাথর উত্তোলন বন্ধ থাকার পরও কানাইঘাট লোভাছড়া পাথর কোয়ারী থেকে লীজ বহির্ভূতভাবে মারাত্মক পরিবেশ বিধ্বংসী কয়েকটি বোমা মেশিন দিয়ে রাতের আঁধারে পাথর উত্তোলন নিয়ে সচেতন মহলে বিরোপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন সম্পন্ন পাথর উত্তোলন বন্ধ হওয়া লোভাছড়া পাথর কোয়ারীর মারাত্মক ভাঙ্গন কবলিত তেরহালী নামক স্থান থেকে গত কয়েকদিন থেকে কয়েকটি বোম মেশিনের সাহায্যে রাত ১২ টার পর থেকে ভোর রাত পর্যন্ত লক্ষ লক্ষ টাকা মূল্যের হাজার হাজার ঘন ফুট পাথর উত্তোলন করা হচ্ছে। ৩/৪দিন পূর্বে আমরি খালের পাশে কোয়ারীর লোভা নাদী থেকে রাতের বেলা বোমা মেশিন দিয়ে কোয়ারীর নিয়ন্ত্রন কারী বেশ কয়েকজন কোটিপতি পাথর খেকু ব্যবসায়ী অবৈধ ভাবে পাথর উত্তোলন শুরু করলে স্থানীয় লোকজন তাদের বাধা দেন। পরে বোম মেশিন গুলো নিয়ে পাথর খেকোরা কোয়ারীর তেরহালী এলাকায় নিয়ে রাখে। এরপর গত ৩ থেকে ৪ দিন কয়েকটি বোমা মেশিন দিয়ে রাতের বেলা কোয়ারীরর তেরহালী এলাকা থেকে পাথর উত্তোলন করে এর সাথে জড়িত পাথর খেকুরা। গত সোমবার রাত ১২টার পর তেরহালী এলাকা থেকে বোমা মেশিনের সাহায্যে পাথর উত্তোলনের পাঁয়তারা করার সময় লোভাছড়া চা বাগানের স্বত্ত্বাধিকারী লক্ষ্মীপ্রসাদ পশ্চিম ইউপি চেয়ারম্যান জেমস লিও ফারগুশন নানকা সহ চা বাগানের শ্রমিক ও আশপাশ এলাকার লোকজন সেখানে জড় হন। এক পর্যায়ে বিষয়টি জেনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন্ত ব্যানার্জি এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য লোভাছড়া বিজিপি ক্যাম্পের কর্মকর্তারা ও থানা পুলিশকে নির্দেশ দেন। বিজিবি সদস্যরা দ্রুত সেখানে গেলে তেরহালী এলাকা গেলে বোমা মেশিন লোভা নদীতে রেখে পাথর খেকুরা চলে যায়। এ ছাড়া বোম মেশিন দিয়ে পাথর উত্তোলনের খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাটান থানার অফিসার ইনচার্জ তাজুল ইসলাম পিপিএম। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন পাথর ব্যবসায়া জানিয়েছেন কোয়ারী বন্ধ থাকার পরও কিভাবে বোমা মেশিন কোয়ারীতে এলো এবং এখন পর্যন্ত লোভা কোয়ারীতে বোমা মেশিন রাখার পরও জব্দ কার হচ্ছেনা যা অত্যান্ত রহস্য জনক। কারা বোমা মেশিন দিয়ে কোয়ারী থেকে পাথর উত্তোলন করতে চায় এসব পাথরখেকো ব্যবসায়ীদের প্রশাসনের লোকজন চিনেন কিন্তু বার বার তারা ছাড় পেয়ে যায়। এ ব্যাপারে সিলেট পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক এমরান হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোয়ারীতে পরিবেশ ধ্বংসকারী বোমা মেশিন যাতে করে চলতে না পারে এজন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দিবেন বলে জানান। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন্ত ব্যানার্জির সাথে এ নিয়ে কথা হলে তিনি বলেন, লোভাছড়া পাথর কোয়ারীর লীজ বন্ধ রয়েছে বোমা মেশিন দিয়ে পাথর উত্তোলনের চেষ্টায় সংবাদ পেয়ে তিনি দ্রুত সেখানে লোভাছড়া বিজিবি ক্যাম্পের কর্মকর্তা ও থানার অফিসার ইনচার্জ তাজুল ইসলামকে ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দিয়েছেন। কোয়ারী থেকে কেউ বোমা মেশিন দিয়ে পাথর উত্তোলনের পায়রতারা করলে কঠোর আইনানু ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না এবং কোয়ারী থেকে লীজ বহির্ভূত পাথর উত্তোলন ও পরিবহন কেউ করতে পারবেন না।