ছাতক থেকে সংবাদদাতা :
ছাতকে সন্ত্রাসী হামলার শিকার শারীরিক প্রতিবন্ধী (পঙ্গু) গোবিন্দগঞ্জ- সৈদেরগাও ইউপির সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান দিলোয়ার হোসেন নাজমুল তার সুস্থ হাতটি হারাবার আশংকায় ভোগছেন। ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে হামলাকারীরা বাম পা ও বাম হাত বিহীন নাজমুলের সুস্থ ডান হাত রাম-দা দিয়ে কুপিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করে পালিয়ে যায়। সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও প্রইভেট নিরাময় পলি ক্লিনিকে চিকিৎসা শেষে বর্তমানে তিনি নিজ বাড়িতে অমানবিক জীবন যাপন করছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২২ মার্চ উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের গেবিন্দনগর গ্রামের মাঠে ছোটদের মিনিবার ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের খবর পেয়ে গোবিন্দগঞ্জ পয়েন্ট থেকে নিজ গ্রাম গোবিন্দনগরে গিয়ে রাস্তার পাশে ট্রেচারে ভর করে দাঁড়িয়ে বিষয়টি জানার চেষ্টা করেন নাজমুল। এ সময় একই গ্রামের আব্দুল জলিলের পুত্র লোকমান হোসেন, মৃত উস্তার আলীর পুত্র রাকিব আলীর নেতৃত্বে সশস্ত্র লোকজন পঙ্গু দিলোয়ার হোসেন নাজমুলের উপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা তাকে এলোপাতারী কুপিয়ে মৃত ভেবে রাস্তায় ফেলে পালিয়ে যায়। যাওয়ার পথে ইউপি সদস্য আলকাব আলীকে ও কুপিয়ে গুরুতর আহত করে তারা। এ ঘটনায় আহত দিলোয়ার হোসেন নাজমুল বাদী হয়ে ২৫ এপ্রিল লোকমান হোসেন, রাকিব আলী, আব্দুল কাইয়ূম, আব্দুল ছোবহান, আব্দুল জব্বারসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা (নং-৩২) দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে গ্রামের আব্দুল ছোবহান ও আব্দুল জব্বারকে থানা-পুলিশ গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে। গ্রামের রফিক আলী, নুর আহমদ, মাষ্টার আরশ আলী, আফিজ আলী, ইসমাইল আলীসহ লোকজন জানান, চাঁদাবাজি, চুরিসহ একাধিক মামলার আসামী লোকমান ও তার সহযোগিদের অত্যাচার নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে গ্রামবাসী। গোবিন্দগঞ্জে অবৈধ তীর খেলার (শিলং খেলার) মূল এজেন্ট হিসেবেও লোকমানের পরিচিতি রয়েছে। এলাকায় সরকারী ভুমিতে সাইবোর্ড টানিয়ে ব্যাটারী চালিত রিক্সার ষ্ট্যান্ড বসিয়েও চাঁদাবাজিতে লিপ্ত রয়েছে সে। এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য আলকাব আলী জানান, ঘটনারদিন সংঘর্ষের খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে পৌছলে তাকেও মারধোর করে পালিয়ে যায় লোকমান ও তার সহযোগিরা। ইউপি চেয়ারম্যান আখলাকুর রহমান এ ব্যাপারে জানান, সাবেক ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান নাজমুলের উপর হামলার ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। জড়িতদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করার দাবী জানান তিনি। এব্যাপারে থানার এসআই ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা অরুপ সাগর বলেন, এ মামলায় ২ জনকে গ্রেফতার করে সুনামগঞ্জ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্যান্য আসামীদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।