স্টাফ রিপোর্টার
ব্যাটারিচালিত রিকশার লাইসেন্স বা অনুমতিপত্র দেওয়ার আহŸান জানিয়েছে ব্যাটারি চালিত রিকশা মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। এ জন্য নীতিমালা প্রণয়ন করে বৈধভাবে রিকশা চলাচলের সুযোগ করে দেওয়ার আহŸান জানিয়েছেন তারা।
রোববার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান সংগঠনটির সিলেট মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. ধানিছ মিয়া। একইসঙ্গে ট্রাফিক পুলিশ কর্তৃক রিকশা আটক বন্ধ করা, আটককৃত রিকশাগুলো ছেড়ে দেওয়া এবং হয়রানি বন্ধের আহŸান করেন এবং প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সবার সুদৃষ্টি কামনা করেন।
লিখিত বক্তব্যে ধানিছ মিয়া বলেন, ‘আমরা রিকশা চালিয়ে বৈধভাবে আয় করে দু’মুঠো খাবার যোগাড় করি। কিন্তু সড়কে রিকশা নিয়ে বের হলে গাড়ি আটকে জরিমানা করা এবং রিকশা রেকার করা হয়। এমন পরিস্থিতিতে অনেকে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত নিরীহ, শান্তিপ্রিয় ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ব্যক্তি। ক্ষুধার জ্বালায় বাধ্য হয়ে এসব রিকশার উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছি। কর্মসংস্থানের কোন সুযোগ না পেয়ে জীবন-জীবিকার তাগিদে রিকশা চালানোকে শেষ অবলম্বন হিসেবে গ্রহণ করেছি। শুধু আমরা নয় উচ্চ শিক্ষিত অনেক বেকার যুবক জীবীকার তাগিদে এসব রিকশা চালিয়ে উপার্জনের পথ বেছে নিয়েছেন। পাশাপাশি বিপথগামী অনেক যুবকও ভুল পথ ছেড়ে রিকশা চালিয়ে রোজগার করে পরিবারকে সাহায্য করছেন।’ সিলেটের জেলা প্রশাসন, সিটি করপোরেশসন বিভ্নি দপ্তরে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচলের অনুমতি চেয়েও পাননি বলে দাবি করেন ধানিছ মিয়া। তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন থেকে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচলের জন্য কোন লাইসেন্স বা অনুমতি প্রদান করা হচ্ছে না। বৈধতা পেতে ইতোমধ্যে সিলেটের জেলা প্রশাসক, সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, এসএমপি কমিশনার বরাবরে পৃথকভাবে লিখিত আবেদন করেছি। কিন্তু কারও কাছ থেকে সাড়া পাচ্ছি না।’
তিনি আরও অভিযোগ করেন, ‘গত কয়েকমাস ধরে পুলিশ প্রশাসন কর্তৃক অলিগলিতে ব্যাটারি চালিত রিকশা চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে না। উপরন্ত ট্রাফিক পুলিশ রিকশা আটক করে প্রশাসনিকভাবে ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করছে এবং অন্য একটি বিকাশ নাম্বার দিয়ে ২৫০০ টাকা চালকদের কাছ থেকে আদায় করছে।’
ধানিছ মিয়ার অভিযোগ, ‘ব্যাটারিচালিত অনেক রিকশা আটক করে অযতেœ রাখা হচ্ছে। এতে রিকশার যন্ত্রাংশ বিনষ্ট হচ্ছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট প্রশাসন রিকশাগুলো ছেড়ে দিচ্ছেন না। আলমপুরে বর্তমানে বানের পানি ঢুকে রিকশাগুলোর অকেজো হওয়ার উপক্রম।’ তিনি রিকশাগুলো দ্রæত ছাড়ার অনুরোধ জানান।
সাম্প্রতিককালে ঢাকায় রিকশা শ্রমিকরা রিকশাচলাচলের বৈধতা ও পুলিশি হয়রানির প্রতিবাদের প্রেক্ষিতে গরিব মানুষের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর মহানুভবতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ^াস করি, প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান দেখিয়ে সিলেটের স্থানীয় প্রশাসন ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচলের অনুমতি প্রদান করবেন।’