কাজিরবাজার ডেস্ক :
বিশ্বের সব দেশে ‘সেভেন থ্রি সেভেন-ম্যাক্স’ মডেলের উড়োজাহাজ চলাচল স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ‘বোয়িং’। বিশ্বব্যাপী ৩’শ ৭১টি ম্যাক্স মডেলের এয়ারক্র্যাফট দ্রুতই তুলে নেয়া হবে বলেও জানায় তারা। মাত্র পাঁচ মাসের ব্যবধানে এই মডেলের দু’টি বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় এমন সিদ্ধান্ত নিলো বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি। এর আগে, নিরাপত্তার স্বার্থে বোয়িং ‘সেভেন থ্রি সেভেন-ম্যাক্স’ মডেলের সব বিমান চলাচল স্থগিত ঘোষণা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাস্প।
গেলো তেসরা মার্চ, ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের বোয়িং-সেভেন থ্রি সেভেন-ম্যাক্স-এইট’ মডেলের বিমান বিধ্বস্তে নিহত হন ৩৫ দেশের ১শ’ ৫৭ আরোহীর সবাই। বুধবার দুর্ঘটনাস্থলে এসে কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজনহারারা। নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান তারা।
ইন্দোনেশিয়ায় গত ২৯ অক্টোবর দুর্ঘটনার পর একই মডেলের আরেকটি বিমানের এমন দুর্ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং। তারা সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে ‘সেভেন থ্রি সেভেন-ম্যাক্স’ মডেলের উড়োজাহাজ চলাচল। তবে ‘সেভেন থ্রি সেভেন ম্যাক্স’ নিরাপদ – এই বক্তব্যে এখনও অনঢ় বোয়িং। ককপিটের তথ্য পাওয়ার পর এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থেই গুরুত্বপূর্ণ এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় বিমান প্রশাসন বিষয়টি পর্যালোচনা করে দ্রুত একটি সিদ্ধান্তে আসতে যাচ্ছে। সেভেন থ্রি সেভেন ম্যাক্স- এইট এবং নাইনের সব ধরনের ফ্লাইট বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। মার্কিনসহ সারা বিশ্বের মানুষের নিরাপত্তাই আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
এরই মধ্যে অস্ট্রেলিয়া, ব্রিটেন ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশ তাদের আকাশসীমায় বোয়িং ম্যাক্সের চলাচল সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করেছে। বাংলাদেশের পাইলটরাও বোয়িং ‘সেভেন থ্রি সেভেন ম্যাক্স’ উড়োজাহাজকে প্রাণঘাতী বলে মনে করছেন।
এদিকে নির্দিষ্ট ঐ মডেলের সব বিমান চলাচল নিষিদ্ধ হওয়ায় ‘ভয়াবহ’ লোকসানের মুখে পড়তে যাচ্ছে বোয়িং। এরই মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ক্রেতারা তাদের অর্ডার বাতিল করতে শুরু করেছে।