কাজির বাজার ডেস্ক
মঙ্গলগ্রহের পর এবার চাঁদে মানুষের বসবাসের উপযোগীর সম্ভব্যতা যাচাই করতে মানববিহীন স্যাটেলাইট পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। বাংলাদেশসহ বিশ্বের মাত্র ২২টি দেশ এ গবেষণায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে। ‘টিম বাংলাদেশ’ নামের একটি গ্রæপ স্যাটেলাইট পাঠানোতে অংশ নিবে। এ টিমের অ্যাস্ট্রোফিজিক্স ও অ্যাস্ট্রোরোবটিক্স স্পেশালিস্ট হিসেবে রয়েছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী সঞ্জিত মÐল।
জানা যায়, পৃথিবীর বিকল্প হিসেবে মানুষের বসবাসের উপযোগী ভ‚খন্ড খুজঁতে নাসা একটি গবেষণা করতে যাচ্ছে চাঁদে। সেখানে ২০২৪ সালে ছোট ছোট মানববিহীন স্যাটেলাইট পাঠাবে সংস্থাটি। স্যাটেলাইটগুলো বিভিন্ন জায়গায় স্থাপন করা হবে এবং এর মাধ্যমে নাসা জানতে পারবে চাঁদের আবাহাওয়া সম্পর্কে। এরমাধ্যমে নাসা দেখতে চায় চাঁদে মানুষ বসবাসের জন্য কতটা উপযোগী। নাসার এই পরিকল্পনায় অংশ নিচ্ছেন বিশ্বের মাত্র ২২টি দেশ। এতে স্থান পেয়েছে বাংলাদেশও। এটুআই এনোবেশন ল্যাবের ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে ‘টিম বাংলাদেশ’। এর আগে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়ার পাশাপাশি যন্ত্রাংশ পাঠিয়েছে নাসা। মাত্র ৩৬ সেন্টিমিটার ও ৫ গ্রাম ওজনের এসব স্যাটেলাইটগুলো অভিযান উপযোগী হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে।
টিমের অ্যাস্ট্রোফিজিক্স ও অ্যাস্ট্রোরোবটিক্স স্পেশালিস্ট সঞ্জিত মÐল বলেন, চাঁদে স্যাটেলাইট পাঠানোর মত একটি টিমে অংশগ্রহণ করতে পারছি, এটি গর্বের। দেশের জন্য কাজ করছি, এর মাধ্যমে সারাবিশ্বে বাংলাদেশকে রিপ্রেজেন্ট করতে পারব।
নাসায় স্যাটেলাইট পাঠানোর বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা একটা স্যাটেলাইট তৈরি করছি। স্যাটেলাইটের যাবতীয় সরঞ্জাম নাসা আমাদেরকে প্রোভাইড করেছে। এটুআই আমাদের ল্যাব সাপোর্ট দিচ্ছে। নাসা আমাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, আমরা আমাদের স্যাটেলাইট তৈরি করার পর ওই স্যাটেলাইটের প্রোগ্রামিং আমাদেরই করতে হবে এবং সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২৪ সালে বাংলার মাটি থেকে নির্মিত প্রথম স্যাটেলাইট চাঁদের মাটিতে অবতরণ করবে। আমাদের স্যাটেলাইট গুলো চাঁদের মাটিতে পাঠানোর ব্যবস্থা করে দিবে নাসা। নাসার শর্ত হচ্ছে স্যাটেলাইটটির ওজন হবে সর্বোচ্চ ২০ গ্রাম, কিন্তু আমরা তা ৫ গ্রামে করার চেষ্টা করছি। আমরা কাজ শেষে নাসায় পাঠাবো স্যাটেলাইটগুলো। স্যাটেলাইট চাঁদের যাওয়ার পর আমরা চাঁদের সব ধরনের তথ্য বাংলাদেশে বসে দেখতে পারব। আমরা ডাটাগুলো নিয়ে গবেষণা করবো আমাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় কাজে লাগাতে পারব।
প্রসঙ্গত, সঞ্জিত মÐল কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ১০ম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। বর্তমানে তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতকত্তোর করছেন। এরআগে রোবট ‘সিনা’, ‘বøুবেরী’ ও ‘নিকো’ তৈরি করে দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করেন সঞ্জিত ও কুবি শিক্ষার্থীরা। এবার তিনি অংশ নিচ্ছেন মহাকাশ গবেষণায়।