জাতীয় জনতা পার্টির প্রতিষ্ঠাতা ও মহান মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক বঙ্গবীর জেনারেল মহম্মদ আতাউল গণী ওসমানী’র ৩৫তম মৃত্যুবার্ষিকীতে জাতীয় জনতা পার্টির চেয়ারম্যান, সাবেক সংসদ সদস্য এডভোকেট নূরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে ১৫ ফেব্র“য়ারি শুক্রবার বাদ জুম্মা ওসমানীর মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পন, ফাতেহা পাঠ, জিয়ারত ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
মিলাদ মাহফিল শেষে হযরত শাহজালাল রহ. মাজার প্রাঙ্গণে জাতীয় জনতা পার্টির জেলা সভাপতি এডভোকেট আব্দুর মতিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় জনতা পার্টির চেয়ারম্যান, সাবেক সংসদ সদস্য এডভোকেট নূরুল ইসলাম খান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় কমিটির মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী গোলাম মর্তুজা, জেলা সহ সভাপতি কাজী আব্দুর মুমিন, অধ্যক্ষ আব্দুল মুহিত, জেলা সাধারণ সম্পাদক আকলিছ আহমদ চৌধুরী, মহানগর সভাপতি সাবের সফকত জাহান চৌধুরী, কেন্দ্রীয় সহ আইন বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট তাহমিনুল ইসলাম খান,
মহানগর সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান শফিক, ফারুক আহমদ চৌধুরী। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা তৈয়ব আলী, আমিনুল ইসলাম বকুল, কামাল মিয়া প্রমুুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এডভোকেট নুরুল ইসলাম খান বলেন, মুক্তিযুদ্ধে চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে সরকারের পাশাপাশি সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। জেনারেল এম.এ.জি ওসমানীর নীতি ও আদর্শ অনুসরণের মাধ্যমে দেশে প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। তাই সবাইকে জাতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দিয়ে জনতা পার্টিকে শক্তিশালী করতে হবে। তাহলেই এম.এ.জি ওসমানীকে স্মরণ করার সফলতা আসবে।
ভাসানী-ওসমানী স্মৃতি সংসদ : ভাসানী-ওসমানী স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে গতকাল ১৬ ফেব্র“য়ারী শনিবার মহান মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক বঙ্গবীর জেনারেল আতাউল গণী ওসমানীর ৩৫তম মৃত্যুবার্ষিকী বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে পালিত হয়। কর্মসূচীর মধ্যে ছিল সকালে শাহজালাল দরগাহ প্রাঙ্গণের কবর স্থানে পুষ্পস্তবক অর্পন, ফাতেহা পাঠ ও কবর জিয়ারত, বিকালে সাহেব নগরস্থ সংসদের কার্যালয়ে ওসমানীর কর্মময় জীবনের উপর আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল।
সংসদের উপদেষ্টা, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল আহমদ সেলিমের পরিচালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সংসদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোঃ আমিনুল ইসলাম বকুল। বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী গোলাম মর্তুজা, আলহাজ্ব মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, জহির আলী, সুহেল আহমদ, হাবীব আলী মিঠু, রাকিব আলী, ফারুক আহমদ ও সুমন দাস প্রমুখ।
বঙ্গবীর ওসমানী স্মৃতি সংসদ : মহান মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক বঙ্গবীর এম.এ.জি ওসমানীর ৩৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল ১৬ ফেব্র“য়ারী শনিবার বঙ্গবীর ওসমানী স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়। দিনটি যথাযথ মর্যাদার সাথে পালনের লক্ষ্যে বঙ্গবীর ওসমানী স্মৃতি সংসদ সিলেটের উদ্যোগে সকাল ৯টায় মরহুমের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত খতমে কোরআন বাদ জুম্মা হযরত শাহজালাল (রহ.) মাজার মসজিদে মিলাদ শেষে মরহুমের মাজার জিয়ারত করা হয়।
বঙ্গবীর ওসমানী স্মৃতি সংসদের সভাপতি সৈয়দ আহমদ বহলুল এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোহাম্মদ জুয়েল এর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাবেক কাউন্সিলর বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দিন চৌধুরী, সংসদের সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ-’৭১ সিলেট বিভাগীয় সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট সরওয়ার আহমদ চৌধুরী আবদাল, শাহ গওহর জামে মসজিদের সেক্রেটারী, সাবেক কাউন্সিলর আলহাজ¦ রাজিক মিয়া, সৈয়দ শাহ মোস্তফা চাবুকমার (রহ.) মাজারের মোতাওয়াল্লি সৈয়দ খলিল উল্লাহ জুনেদ, সৈয়দ মোঃ তাহের, স্মৃতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী গোলাম মোস্তফা, মাওলানা আবু ইউসুফ চৌধুরী, মাওলানা হাফিজ আব্দুল কাদির, সংসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ধ্রুব গৌতম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুর রহমান শফিক, শাহ সেবুল আহমদ, মাওলানা শামসুল ইসলাম, হাফিজ হোসাইন আহমদ, হাফিজ আলাউদ্দিন, হাফিজ আব্দুছ ছালাম, হাফিজ জমির উদ্দিন, হাফিজ দিলোয়ার হুসেন, হাফিজ হুছাইন আহমদ, নূরুল ইসলাম, জাহেদ আহমদ, হুছাইন আহমদ সিরাজ, হাফিজ সিরাজুল হক, আব্দুল জব্বার, গৌছ উদ্দিন, ক্বারী আবুল লেইছ, রাজু আহমদ প্রমুখ।
ওসমানী জাদুঘর : শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডিন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. কামাল আহমদ চৌধুরী বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে জেনারেল এম এ জি ওসমানী বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেন। একজন ওসমানীর অবদান বাঙালি জাতির কাছে অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে। মহান মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক হয়ে সমস্ত মুক্তিবাহিনীকে সুসংগঠিত করে তাঁরই নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেন। ৯ মাসের যুদ্ধে পাক-হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ মুক্ত করেন। বঙ্গবীর ওসমানী ছিলেন একজন গণতন্ত্রমনা, নির্লোভ, নিঃস্বার্থপর ব্যক্তি।
তিনি গতকাল ১৬ ফেব্র“য়ারি শনিবার সিলেট ওসমানী যাদুঘর আয়োজিত বঙ্গবীর জেনারেল এম এ জি ওসমানীর ৩৫ তম মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ এর সভাপতিত্বে ও সিলেট কল্যাণ সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মো. এহছানুল হক তাহেরের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন শাবিপ্রবির রেজিষ্টার মো. ইসফাকুল হোসেন, সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এমাদউল্লাহ শহীদুল ইসলাম, সেক্টর কমান্ডার ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ’ ৭১ এর সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট সরওয়ার আহমেদ চৌধুরী (আবদাল), সিলেট বিভাগ গণদাবী পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট মুজিবুর রহমান চৌধুরী, কলামিস্ট আফতাব চৌধুরী।
প্রধান আলোচকের বক্তব্য রাখেন, ওসমানী মেমোরিয়াল স্মৃতি ট্রাস্টের ট্রাস্টি এড. নওসাদ আহমদ চৌধুরী। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ওসমানী যাদুঘরের সহকারি কীপার মো. জিয়ারত হোসেন খান। বিজ্ঞপ্তি