ছাতকে দু’বছর পর সুন্নী ও কওমী অনুসারীদের মাহফিলের স্থান নিয়ে সৃষ্ট জটিলতার অবসান

113

ছাতক থেকে সংবাদদাতা :
ছাতকে কওমী ও সুন্নী পক্ষের ওয়াজ মাহফিলের স্থান নিয়ে সৃষ্ট জটিলতার অবসান ঘটেছে। রবিবার দুপুরে পৌরসভার সম্মেলন কক্ষে পৌর ও পুলিশ প্রশাসন, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, মাঠ কমিটি, কওমী ও সুন্নী পক্ষের লোকজনের উপস্থিতিতে এক সভায় এ জটিলতার অবসান ঘটে। ২০১৭ সালের ২৭ ফেব্র“য়ারি ছাতক বহুমুখী মডেল হাইস্কুল মাঠে কওমী সমর্থকদের অনুষ্ঠিত এক ওয়াজ মাহফিল নিয়ে কওমী ও সুন্নী সমর্থকদের মাঝে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে দু’ব্যক্তি নিহত হয়। আহত হয় প্রায় শতাধিক ব্যক্তি। এ ঘটনায় উপজেলা প্রশাসন, পৌর প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সমন্বয়ে নিরাপত্তাজনিত কারণে হাইস্কুল মাঠে ওয়াজ মাহফিল অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। প্রায় দু’বছর পর কওমী ও সুন্নী সমর্থকদের পৃথক স্থানে ওয়াজ মাহফিল করার অনুমতি দেয়া হয়। ছাতক বহুমুখী মডেল হাইস্কুল মাঠে সুন্নী সমর্থকদের এবং ছাতক পাবলিক খেলার মাঠে (মন্টু বাবুর মাঠ) কওমী সমর্থকদের ওয়াজ মাফফিল করার অনুমতির মাধ্যমে দীর্ঘদিনের জটিলতার অবসান ঘটে।
উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক আবরু মিয়া তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, পৌর মেয়ার আবুল কারাম চৌধুরি। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ আতিকুর রহমান। বক্তব্য রাখেন, পৌরসভার প্যানেল মেয়র তাপস চৌধুরি, পৌর সচিব সামছুদ্দিন, নোয়াগাঁও-গনেশপুর মাদরাসার মুহতামীম মাওলানা আবদুল হান্নান, জালালিয়া ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবদুল আহাদ, জয়নাল আবেদীন তালুকদার ধলা মিয়া, আবদুল ওদুদ, সাবেক চেয়ারম্যান লায়েক মিয়া, শাহীন চৌধুরি, পৌর কাউন্সিলর জসিম উদ্দিন সুমেন, দিলোয়ার হোসেন, লিয়াকত আলী, নওশাদ মিয়া, মহিলা কাউন্সিলর মিলন রানী দাস, সাবেক কাউন্সিলর ইরাজ মিয়া, মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা, মাওলানা আবদুল মালিক, মাওলানা আকিক হোসাইন, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সেক্রেটারি ও পাবলিক খেলার মাঠ কমিটির সাধারণ সম্পাদক লাল মিয়া প্রমুখ।