একে কুদরত পাশা সুনামগঞ্জ থেকে :
বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল কমিরে ১১তম মৃত্যু বার্ষিকী আজ। ২০০৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর তিনি মৃত্যু বরণ করেন।
এদিনকে ঘিরে প্রতি বছর বাউল সম্রাটের বাড়ীতে রাত ব্যাপী আয়োজন করা হতো করিমগীতির আসরের। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে করিম ভক্তরা আসতের উজানধল গ্রামে। মহামারী করোনার কারণে এ বছর বাউল সম্রাটের বাড়ীকে কোন অনুষ্ঠানের আয়েজন করা হবে না।
বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিমের একমাত্র পুত্র শাহ নূর জালাল জানান, প্রখ্যাত লোক সঙ্গীত সাধক ও গণ মানুষের কবি বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিম এর ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আগামী ১২ সেপ্টেম্বর শনিবার আমাদের নিজ বাড়িতে প্রতি বছরের ন্যায় এবার কোন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। কারন করোনাভাইরাসের কারনে সারা বিশ্ব এখন হতাশাগ্রস্ত। তাই সে কারণেই আমরা এবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাউল শাহ আবদুল করিমের মৃত্যুবার্ষিকী সীমিত পরিসরে পালনের উদ্যোগ নিয়েছি।
আমার পিতার জন্মবার্ষিকী ও মৃত্যুবার্ষিকীতে দেশের প্রতিটি টেলিভিশন চ্যানেলে গান, জীবন ও কর্ম নিয়ে বিভিন্ন সুন্দর অনুষ্ঠানমালার আয়োজন প্রতিবছরই করে আসছে। আশা করি বরাবরের মতো ওই সকল অনুষ্ঠানের আয়োজন চালিয়ে যাবেন টিভি চ্যানেল কর্তৃপক্ষ।
এছাড়াও প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়া বাউল শাহ আবদুল করিমকে নিয়ে আশা রাখি বিভিন্ন প্রতিবেদন প্রকাশ করে শাহ আবদুল করিমকে নতুন প্রজন্ম ও বিশ্ব দরবারে তুলে ধরবেন।
দেশের বাহিরে লন্ডনে প্রথমবারের মত এবার পালন করা হচ্ছে শাহ আবদুল করিম স্বরন উৎসব। লন্ডন সময় বিকাল ৩ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত শাহ আবদুল করিমের গান, কথা, সুর, জীবন ও দর্শন নিয়ে টিভি ত্রি বাংলাতে প্রচার হবে সুন্দর একটি অনুষ্ঠান।
এদিকে কুয়েতে রয়েছে শাহ আবদুল করিম পরিষদ। তারা প্রতিবছরের ন্যায় এবারও পালন করবেন আমার পিতার মৃত্যুবার্ষিকী।
এছাড়াও দেশে বিদেশে আমার সঙ্গে যোগাযোগ না করেও আশা করি বিভিন্ন জায়গায় হয়তো অনেকেই বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিমের মৃত্যুবার্ষিকী পালন করবেন।
আমি আমার পিতার রুহের মাগফেরাত কামনায় দেশী-বিদেশী সকলের নিকট দোয়া ও আশীর্বাদ কামনা করি।