জেড.এম. শামসুল :
১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের সময়ে আসামের করিমগঞ্জ জেলার বৃহত্তর অংশ জকিগঞ্জ এলাকাকে নিয়ে জকিগঞ্জ প্রস্তাবিত জকিগঞ্জ মহকুমা নাম ধারণ করে জকিগঞ্জে মহকুমা পর্যায় সকল প্রকার কার্যক্রম শুরু হয়। ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত প্রস্তাবিত মহকুমা হিসাবে স্থানীয়ভাবে আবাসিক হাকিমের আদালত, পুলিশ ষ্টেশন, ভূমি অফিস, আনসার কামান্ডার অফিস, ব্যাংক, বীমা সহ বিভিন্ন অফিস সহ স্থানীয়ভাবে গড়ে উঠে ভারতের সাথে আমদানীÑরফতানী, ব্যবসাÑবাণিজ্য। তবে জকিগঞ্জ এক সময়ে মলি-বাঁশ আমদানীর কেন্দ্রবিন্দু হিসাবে খ্যাত ছিল। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বাঁশ ব্যবসায়ীরা জকিগঞ্জে বসবাস করত। জকিগঞ্জ শহর ছিল লোকে লোকারণ্য। ১৯৪৮ সালে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার করাচী থেকে জকিগঞ্জকে প্রস্তাবিত মহকুমা হিসাবে আখ্যায়িত করা হয়েছিল।
১৯৮৩ সালে তৎকালীন এরশাদ সরকার প্রস্তাবিত জকিগঞ্জ মহকুমাকে জকিগঞ্জ জেলায় রূপান্তরিত না করে উপজেলা ঘোষণা করায় জকিগঞ্জবাসীকে জেলার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল। তেমনি ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সহ ১৪ দলীয় জোট সরকার গঠনের জকিগঞ্জবাসী জকিগঞ্জÑঢাকা সরাসরি যাত্রীবাহী বাস চলাচলের দাবী উত্তোলন করা হয়। এ সময়ে ঢাকা থেকে আজাদ পরিবহন নামে একটি বাস জকিগঞ্জ-ঢাকা সরাসরি চলাচল করার পর স্থানীয় টার্মিনাল নেতৃবৃন্দের বাধায় জকিগঞ্জÑঢাকা বাস চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। এ নিয়ে জকিগঞ্জবাসীও বাস মালিকÑশ্রমিকদের মধ্যে লংকা কান্ড ঘটেছিল। জকিগঞ্জে হরতাল সভা সমাবেশ হয়েছিল, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রশাসন হিমসিম খেতে হয়েছিল। এ সময়ে তৎকালীন প্রশাসনের আশ্বাস আজও বাস্তবায়ন হয়নি।
বর্তমান সরকারের কাছে জকিগঞ্জবাসীর প্রত্যাশা সরকারের সর্বত্র উন্নয়নের পাশাপশি সীমান্তিক জকিগঞ্জবাসীর দীর্ঘ দিনের প্রত্যাশা পূরণে সরকারের সকল বিভাগএগিয়ে আসা অতীব জরুরী।