গোলাপগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি বলেছেন, এবারের নির্বাচনে আওয়ামীলীগের বিজয় তৃণমূল নেতাকর্মীদের পরিশ্রমের ফল। আপানারা দিনরাত পরিশ্রম করে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করেছেন। নির্বাচনে দু-একজন বিতর্কিত নেতা ছাড়া সবাই দলের পক্ষে কাজ করেন। সবাই এ রকম দায়িত্বশীলতার সাথে দলবদ্ধ থাকলে শত প্রতিকূলতাই আমাদের উন্নয়ন থামিয়ে রাখতে পারবে না। দলের নেতাকর্মীরা আওয়ামীলীগের প্রাণ, আর জনগণ শক্তি। এবারের নির্বাচনে দল চিহ্নিত করেছে কারা দলের বিরোধিতা করেছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে গোলাপগঞ্জ উপজেলা অডিটোরিয়ামে উপজেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনত্তোর কর্মীসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি এ সময় আরও বলেন, আওয়ামীলীগ ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত দেশের সার্বিক উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রেখেছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আপামর জনতা আওয়ামীলীগকে একতরফা ভাবে গ্রহণ করেছে। এ বিজয়ের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত করার প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে সরকার। সাবেক শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যারা বলে আমি সবার সাথে মিশিনা তাদের উদ্দেশ্যে বলছি আমি সুযোগ পেলেই সবার সাথে কথা বলি, নেতাকর্মীদের সাথে কুশল বিনিময় করি, বাচ্চাদের সাথে কথা বলি সময় পেলে তাদের সাথে বসে গল্প করি। আমি আপনাদের কর্মী আর কর্মী হিসেবে কোথাও কোন ভুল হলে তা ধরিয়ে দিয়ে বিবেচনায় রাখবেন। আমি জনগণের কথা চিন্তা করে তাদের প্রতি মাসে একবার একান্তে সময় দিব সবার দুঃখ-দুর্দশার খবর নিয়ে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিব। নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি আরও বলেন মন্ত্রী না হওয়ার বিষয়ে দুশ্চিন্তার কিছুই নেই। আমি বিগত ১০ বছর শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে ভারতে ৬ বার শিক্ষামন্ত্রী রদবদল করা হয়। কিন্ত আমি টানা ১০ বছর শিক্ষামন্ত্রী ছিলাম এতে আপনারা সন্তুষ্ট থাকা দরকার। আমি মন্ত্রী থাকাকালীন গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজারের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। কিন্ত তখন সারা দেশের কথা আমাকে ভাবতে হতো এখন শুধু গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজারবাসীর জন্য কাজ করে যেতে চাই। বিগত সময়ে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে এখন তার থেকেও অধিক উন্নয়ন হবে। উপজেলা নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুসারে গোলাপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগ প্রার্থীতার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবে। এবং একজনকেই নৌকার প্রার্থী ঘোষণা করা হবে।
অনুষ্ঠানে গোলাপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ইকবাল আহমদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রফিক আহমেদের পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন, গোলাপগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আমিনুল ইসলাম রাবেল, সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন ইসলাম কামাল, নির্বাহী সদস্য সৈয়দ মিছবাহ উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি আব্দুল ওদুদ, দপ্তর সম্পাদক আকবর আলী ফখর, গোলাপগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি অজামিল চন্দ্র নাথ, সিলেট মহানগর যুব মহিলালীগের সভাপতি নাজিরা বেগম শিলা, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক ওয়েছুর রহমান ওয়েছ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও কাউন্সিলর রুহিন আহমদ খান, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি খায়রুল হক, সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনসুর আহমদ, গোলাপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক সালমান আহমদ চৌধুরী, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কামান্ডার আলহাজ শফিকুর রহমান, বুধবারী বাজার ইউপি চেয়ারম্যান মস্তাব উদ্দিন কামাল, লক্ষণাবন্দ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি নিজাম উদ্দিন, ভাদেশ্বর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি লুৎফুর রহমান মাষ্টার, ঢাকা দক্ষিণ ইউপি আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাবুদ্দিন আহমেদ, উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা জহির উদ্দিন, ইউপি সদস্য সেলিম আহমদ, এনামুল হক রুহেল, রুমেল সিরাজ, আমুড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক নাজিমুল হক লস্কর, আবু সুফিয়ান আজম, সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক উপ-বিভাগীয় সম্পাদক হোসেন আহমদ, গোলাপগঞ্জ পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দিপন, ছাত্রলীগ নেতা জুনেদ মুবিন, শাহ ইমরান, দেলোয়ার, কমল, তানভীর প্রমুখ।