জামালগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক আবু তৌহিদ জুয়েল হত্যার মামলার তদন্ত পিবিআই-কে প্রদান করা হয়েছে। একই সাথে সুনামগঞ্জ সিভিল সার্জনকে নতুন ৫ সদস্য বিশিষ্ট মেডিকেল বোর্ড গঠন করে পুনঃ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রদানের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
বাড়ীর সীমানা বিরোধকে কেন্দ্র করে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা থানাধিন কাকিয়াম গ্রামের মৃত রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে, জামালগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক আবু তৌহিদ জুয়েল প্রতিপক্ষের হামলায় বিগত ০১/১২/২০১৭ইং তারিখে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। নিহততের বড়ভাই, সিলেট মদনমোহন কলেজের প্রভাষক মোঃ সুয়েবুর রহমান ধর্মপাশা থানায় একই গ্রামের বিপ্লব মিয়া, আব্দুর রাজ্জাক, হিরন মিয়া, আব্দুল খালেক, হেলিম, গাজী শামছুদ্দিন, খোকন মিয়া, ফজলু মিয়া, বাবলু মিয়া, হাবিবুল ও নাঈম মোট ১১ জনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ১/২০১৭।
মামলা দায়েরের পর সুনামগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা শাখার পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মোঃ রোকন উদ্দিন ঘটনাস্থলে না গিয়ে এবং বাদী ও সাক্ষীগণের কোন জবানবন্দি গ্রহণ না করেই আসামীগণের সাতে যোগসাজসে ও সম্পূর্ণ যোগাযোগী মূলে অভিযোগপত্র তৈরী বিগত ৩০/০৯/২০১৮ইং তারিখে আলমগ্রহণকারী জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, ধর্মপাশা সুনামগঞ্জে দাখিল করেন। আদালতে দাখিলকৃত ৭৭নং অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে বাদী নারাজী প্রেক্ষিতে এবং মামলাটি পুনঃ তদন্তের আবেদন করলে আদালত আবেদনটি গ্রহণ করে।
আলমগ্রহণকারী জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, ধর্মপাশা সুনামগঞ্জে সিনিয়র চীফ জুডিসিয়ার ম্যাজিস্ট্রেট সাদেকুর রহমান গত ২৩/০১/২০১৯ ইং তারিখে মামলাটি পিবিআই-কে তদন্তের জন্য নির্দেশ দেন।
একই সাথে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের সিনিয়র মেডিকেল অফিসার ডাঃ রফিকুল ইসলামের সাথে যোগসাজসে ও যোগাযোগীমূলে সৃজনকৃত ভিকটিমের ভিসেরা ও হিস্ট্রোপ্যাথলজিক্যাল রিপোর্টে বাদীর নারাজী এবং সিভিল সার্জন কর্তৃক নতুন মেডিকেল বোর্ড গঠনের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত সুনামগঞ্জ সিভিল সার্জনকে নতুন ৫ সদস্য মেডিকেল বোর্ড গঠন করে পুনঃ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রদানের নির্দেশ দেন। বিজ্ঞপ্তি