গত রোজার ঈদের অভিজ্ঞতার পরিপ্রেক্ষিতে এবার ঈদুল আজহায় মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলাচলে বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। গত ঈদে ঢাকা থেকে মোটরসাইকেলে ১২ লাখ ট্রিপ হলেও এবার চলেছে এক লাখ ২০ হাজার মোটরসাইকেল। প্রকাশিত এক খবরে বলা হয়েছে, ঈদ এবং এর আগে ও পরে পাঁচ দিনে ২৩ জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় ৫১ জন প্রাণ হারিয়েছে। আহত হয়েছে ৫০ জনের বেশি।
নিহত ৫১ জনের মধ্যে মোটরসাইকেল সংশ্লিষ্ট দুর্ঘটনায় ১৮ জনের মৃত্যু হয়। প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, রাজধানী ঢাকাসহ আরো ১০ জেলায় গত মঙ্গল ও বুধবার সড়ক দুর্ঘটনায় ১৫ জন নিহত হয়েছে। দিনাজপুর-রংপুর মহাসড়কে গত মঙ্গলবার রাতে দ্রুতগতির একটি প্রাইভেট কার খাদে পড়ে গেলে তিন তরুণের মৃত্যু হয়। প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, দেশের ছয় জেলায় সড়ক ও ট্রেন দুর্ঘটনায় ছয়জন নিহত হয়েছেন। গত বুধ ও বৃহস্পতিবার এসব দুর্ঘটনা ঘটে। শুক্রবার গাজীপুরে প্রাইভেট কারের ধাক্কায় মোটরসাইকেলের তিন আরোহী নিহত হয়েছে।
কোনোভাবেই সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। কেন? বহু অনিয়ম ঘটে রাস্তায়। যেসব কারণে রাস্তায় মৃত্যুর মিছিল লেগেই আছে। সেই অনিয়ম ও কারণ খুঁজতে কালের কণ্ঠে প্রকাশিত প্রতিবেদনেই চোখ রাখা যাক। ময়লার গাড়ির ধাক্কায় পাঁচ বছরে ৩২ মৃত্যু। প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, অপেশাদার, অস্থায়ী, লাইসেন্সবিহীন ও অদক্ষ চালকরাই চালাচ্ছেন এসব গাড়ি। খবরে প্রকাশ, দুই সিটি করপোরেশনের ৯৪৬টি ভারী গাড়ি চালানোর জন্য এখনো পর্যাপ্ত দক্ষ চালক নেই।
মহাসড়কে কী হচ্ছে? চলতি বছরের শুরু থেকে গত ১২ জুলাই পর্যন্ত সাত মাসে গাবতলী-পাটুরিয়া মহাসড়কে দুর্ঘটনা ঘটেছে ৭০টি। এর মধ্যে ২৫টি দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে সেলফি পরিবহন। একটি পরিবহন এত দুর্ঘটনায় কেন? কারণ দীর্ঘদিন ব্যবহারে ফিটনেস হারানোয় বাসগুলোর দূরপাল্লায় চলাচলের সক্ষমতা নেই। বেশির ভাগ বাসের এই পথে চলাচলের অনুমোদন নেই। সেই সঙ্গে বেশির ভাগ চালকের লাইসেন্সও নেই।
আমরা কোনো মতেই এমন অনিরাপদ সড়ক চাই না। সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হবে। চালকদের লাইসেন্স প্রদানের প্রক্রিয়া দুর্নীতিমুক্ত করতে হবে। গাড়ির ফিটনেসের ব্যাপারে কোনো আপস করা যাবে না।