রংপুর রাইডার্সের বিশাল জয়

31

স্পোর্টস ডেস্ক :
রানবন্যায় ভাসল চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম। সেঞ্চুরি করলেন রংপুর রাইডার্সের দুই বিদেশি তারকা আলেক্স হেলস ও রাইলি রুশো। চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে এই ম্যাচে বড় পেল মাশরাফি বিন মর্তুজার দল রংপুর। মুশফিকদের তারা হারাল ৭২ রানে। ৯ ম্যাচ খেলে ১০ পয়েন্ট নিয়ে রংপুর এখন পয়েন্ট টেবিলে তৃতীয় অবস্থানে আছে। আর আট ম্যাচ খেলে ১২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষ অবস্থানে আছে চিটাগং ভাইকিংস।
বিপিএলে শুক্রবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে রংপুর রাইডার্সের দেয়া ২৪০ রানের জয়ের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৬৭ রান সংগ্রহ করে চিটাগং ভাইকিংস। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭৮ রান করেন ইয়াসির আলী। এই রান করতে তিনি ৪৮ বল খেলে চার মারেন ছয়টি ও ছয় মারেন তিনটি। রংপুরের বোলারদের মধ্যে মাশরাফি বিন মর্তুজা ৩টি, ফরাহদ রেজা ২টি, নাজমুল ইসলাম অপু ১টি ও শহীদুল ইসলাম ১টি করে উইকেট শিকার করেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে হেলস-রুশোর সেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ২৩৯ রান সংগ্রহ করে রংপুর রাইডার্স। দলের পক্ষে ৪৮ বলে ১১ চার ও পাঁচটি ছক্কার সাহায্যে ১০০ রান করে আউট হন হেলস। ৫১ বলে আটটি চার ও ছয়টি ছক্কার সাহায্যে ১০০ রান করে অপরাজিত থাকেন রুশো।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তৃতীয়বারের মতো একই ইনিংসে দুইটি সেঞ্চুরির ঘটনা ঘটল। এর আগে ২০১১ সালে মিডলসেক্সের বিপক্ষে একই ইনিংসে সেঞ্চুরি করেন কেভিন ও’ব্রাইন (১১৯) ও হামিশ মার্শাল (১০২)। ২০১৬ সালে গুজরাট লায়ন্সের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেন বিরাট কোহলি (১০৯) ও এবি ডি ভিলিয়ার্স (১২৯)। বিপিএলে এবারের আসরে এই দুজনের আগে মাত্র একজন সেঞ্চুরি করেন। তিনি হলেন রাজশাহী কিংসের বিদেশি তারকা লরি ইভান্স। গত ২১ জানুয়ারি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে ৬২ বলে ১০৪ রান করে অপরাজিত থাকেন ইভান্স। সবমিলিয়ে বিপিএলে এখন পর্যন্ত ১৫টি সেঞ্চুরি হয়েছে।
এই ম্যাচে বিপিএলে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েছে রংপুর। বিপিএলের ইতিহাসে এর আগে সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ঢাকা ডায়নামাইটসের। ২০১৩ সালে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে চার উইকেটে ২১৭ রান সংগ্রহ করেছিল তারা।
রংপুর ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ক্রিস গেইলকে হারায়। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে আবু জায়েদ রাহির বলে এলবিডব্লিউয়ের শিকার হন ক্রিস গেইল। ৬ বল খেলে ২ রান করেন গেইল। এরপর ঝড় তুলেন আলেক্স হেলস ও ক্রিস রিলি রুশো। ২৩ বলে ব্যক্তিগত হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন হেলস। ২৯ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন রুশো।
ইনিংসের ১৫তম ওভারে ৪৭ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন হেলস। সেঞ্চুরি করার পরের বলেই তিনি আউট হয়ে যান। সিকান্দার রাজার বলে নিহাদুজ্জামানের হাতে ক্যাচ হন তিনি। ১৭তম ওভারে খালেদ আহমেদের হাতে ক্যাচ বানিয়ে এবি ডি ভিলিয়ার্সকে ফেরান আবু জায়েদ রাহি। দুই বলে এক রান করেন ডি ভিলিয়ার্স।
ইনিংসের শেষ ওভারের প্রথম বলে ব্যক্তিগত সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন রুশো। সেঞ্চুরি করতে তিনি ৫১ বল খেলেন। রবিউল হকের করা এই ওভারের দ্বিতীয় বলে বোল্ড হন মোহাম্মদ মিথুন। ১০ বলে ১৫ রান করেন তিনি। এরপর নাহিদুল ইসলাম নেমে চার বলে ১১ রান করে অপরাজিত থাকেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ফল: ৭২ রানে জয়ী রংপুর রাইডার্স।
রংপুর রাইডার্স ইনিংস: ২৩৯/৪ (২০ ওভার)
(গেইল ২, হেলস ১০০, রুশো ১০০*, ডি ভিলিয়ার্স ১, মিথুন ১৫, নাহিদুল ১১*; ফ্রাইলিঙ্ক ০/১৪, রাহি ২/৩৫, খালেদ ০/৫০, সানজামুল ০/৩৭, রবিউল ১/৫৪, সিকান্দার ১/৪৮)।
চিটাগং ভাইকিংস ইনিংস: ১৬৭/৮ (২০ ওভার)
(শাহজাদ ২০, ইয়াসির ৭৮, সিকান্দার ৩, মুশফিকুর ২২, নাজিবউল্লাহ ১, মোসাদ্দেক ১৪, সানজামুল ৪, রবিউল ৭, রাহি ১০*, খালেদ ৬*; অপু ১/৩১, মাশরাফি ৩/৩৪, ফরহাদ ২/২৯, শফিউল ০/৩৫, নাহিদুল ০/৯, শহীদুল ১/২৮)।
ম্যাচ সেরা: আলেক্স হেলস (রংপুর রাইডার্স)।