স্টাফ রিপোর্টার :
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, দারিদ্র্যতা অভিশাপ। আমরা এ অভিশাপ থেকে মুক্ত হতে চাই। বর্তমানে দেশে ১০ থেকে ১১ শতাংশ লোক অতিদারিদ্র্য। আমাদের লক্ষ্য, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের পাঁচ বছরে অতিদরিদ্র লোকের সংখ্যা হবে পাঁচ শতাংশের কম।
তিনি বুধবার দুপুরে সিলেট জেলা পরিষদ আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট লুৎফুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, আমরা সৌভাগ্যবান যে, একজন দেশপ্রেমিক প্রধানমন্ত্রী পেয়েছি। তিনি আমাদেরকে বিশ্বে একটি সম্মানী জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চান।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর রূপরেখা বাস্তবায়নে আমার পররাষ্ট্র দপ্তর কী কী কাজ করতে পারে তার কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করছি। আমার
নীতি হবে ইকোনমিক ডেপ্লেমেসি।
নির্বাচনী এলাকা সিলেট নিয়ে নিজের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে বলেন, আগামী একশ’ দিনের মধ্যে ডিজিটাল সিলেট ব্যবস্থা চালু হবে। সিলেটে যেসব নির্মাণাধীন প্রকল্প রয়েছে সেগুলো দ্রুত বাস্তবায়নে আমরা কাজ শুরু করবো। যুব সমাজের কর্মসংস্থানে গুরুত্ব দিয়ে আমরা নতুন নতুন প্রকল্পও গ্রহণ করবো। এছাড়া পর্যটন নগরী গড়ে তোলা ও অবকাঠামো উন্নয়নে গুরুত্ব দেওয়ার কথা জানান তিনি।
ড. মোমেন বলেন, আমি চাই ভিক্ষুকমুক্ত সিলেট নগরী হবে। আধ্যাত্মিক নগরীর হওয়ার সুবাদে এখানে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এসে ভিক্ষুকরা জড়ো হন। এটার অবসান হওয়া উচিত। পুলিশ প্রশাসনসহ সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল সিলেট নগরীসহ যেসব প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে সেগুলো তরান্বিত করতে হবে। আমি চাই সিলেট হবে উন্নত ও আলোকিত নগরী।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী দেবজ্যোতি সিংহ। বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান শামীম আহমদ, আমাতুজ জহুরা রওশন জেবিন রুবা। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আহমদ আল কবির, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ, সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান প্রমুখ।
এর আগে মন্ত্রী সিলেট বিভাগীয় প্রশাসন, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনসহ সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং চলমান উন্নয়ন প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের তাগিদ দেন। তিনি বলেন, আমি চাই আগামীতে দেশের জিডিপি হবে ১০ শতাংশের বেশি। এজন্য সকলে নিজের শতভাগ মেধা ও শ্রম বিনিয়োগ করতে হবে। সবাইকে পার্টনারশীপের ভিত্তিতে কাজ করতে হবে।
সিলেট সার্কিট হাউসে শুভেচ্ছা বিনিময় সভায় সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার মেসবাহ উদ্দিন চৌধুরী, সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মো. কামরুল আহসান, জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামানসহ বিভিন্ন দফতরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।