জাহাঙ্গীর আলম খায়ের বিশ্বনাথ থেকে :
নিজ গ্রামসহ আশপাশ গ্রামের বাড়ি বাড়ি ঝিয়ের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন ২৫ বছর বয়সী বেদানা বেগম। কিন্তু গত ৬ মাস ধরে বিরল রোগ বা মহা ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর প্রহর গুণতে হচ্ছে তাকে। বেদানা বিশ্বনাথ উপজেলার অলংকারী ইউনিয়নের বড়তলা গ্রামের অসহায় জমির আলী ও সিতারা বেগম দম্পতির বড় মেয়ে। তার রোগের ধরণ এমনই যে, তার বাম হাত বিশাল আকৃতির হয়ে গেছে এবং মাঝে মাঝে রক্তও বেরুচ্ছে। অভাবের সংসারে তার দিনমজুর সত্তরোর্ধ পিতা জমির আলীও বয়সের ভারে এখন ক্লান্ত। ৫০ বছর বয়স্ক মা সিতারা বেগমও অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত। কিন্তু নিজে আক্রান্ত হলেও তার চিন্তা মেয়েকে বাঁচানো যাবে তো!। কারণ চিকিৎকরা জানিয়েছেন ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা ছাড়া তাকে সুস্থ করা যাবে না। কিন্তু নুন আনতে যাদের পানতা ফুরোয় তারা এত টাকা পাবে কোথায়?
সরেজমিনে তাদের বাড়িতে গেলে হাউমাউ করে কেঁদে সিতারা বেগম জানান, রোগের কারণে মেয়েটিকে বিয়ে দিতে পারছেন না। ৩ ছেলে ২ মেয়ের মধ্যে বেদানা সবার বড়। বেদানার বাম হাতে ছোটবেলায় থাকা কালো জটটি ছোট থাকলেও ৬/৭ মাস আগে হঠাৎ বড় হয়ে যায়। পেটে ভীষণ ব্যথা হওয়ায় সে আর ভাড়ি ভাড়ি কাজ করতে পারে না। গত শুক্রবার স্থানীয় পনাউল্লাহ বাজারে ঢাকা মেডিকলে কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা: মইনুল ইসলাম ডালিমের শরণাপন্ন হন। চিকিৎসক ডালিম তাদের জানান, বিরল রোগে আক্রান্ত বেদানার চিকিৎসার জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন। আর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিট ছাড়া এ রোগের চিকিৎসাও নেই। তাই প্রথমত ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা নিয়ে সেখানে গিয়ে ভর্তি হওয়ার পরামর্শও দেন তিনি। টাকার পরিমাণ বেশি হওয়ায় গত মঙ্গলবার মেয়েকে নিয়ে পাশের বাড়ির ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল ইসলাম রুহেলের কাছে যান সিতারা। প্রয়োজনে দেশি-বিদেশীসহ সকল বিত্তবানদের সহযোগিতায় মেয়েটির চিকিৎসা করানোর আশ্বাস দিয়ে রাতেই তিনি ইউনিয়ন পরিষদের ফেসবুক পেজে সাহায্য চেয়ে ছবি পোষ্ট করেন তিনি।
দেশি-বিদেশী বিত্তবানদের সহযোগিতা চেয়ে ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল ইসলাম রুহেল বলেন, মেয়েটিকে বাঁচাতে পূবালী ব্যাংক বিশ্বনাথ শাখাস্থ তার নিজের সেভিং একাউন্ট নাম্বার ১০৪০১০১০৭৫২১০ এবং রকেট নাম্বার ০১৬১১০৪২৮২৮ সহায়তা প্রদানের অনুরোধ করেন।