স্পোর্টস ডেস্ক :
টানা চার ম্যাচে হারের পর পঞ্চম ম্যাচে জয়ের দেখা পেল খুলনা টাইটান্স। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) মঙ্গলবার সিলেট পর্বের প্রথম ম্যাচে রাজশাহী কিংসকে ২৫ রানে হারায় তারা। পাঁচ ম্যাচে খুলনা এটি একমাত্র জয়। অন্যদিকে, পাঁচ ম্যাচে রাজশাহীর এটি তৃতীয় হার। বাকি দুই ম্যাচে জয় পেয়েছে তারা।
সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে খুলনা টাইটান্সের দেয়া ১২৯ রানের জয়ের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ১৯.৫ ওভারে ১০৩ রান সংগ্রহ করে অলআউট হয় রাজশাহী কিংস। দলের পক্ষে অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ ১৬ বলে ২৩ রান সংগ্রহ করেন। তিনিই দলের সেরা রান সংগ্রহকারী ব্যাটসম্যান। খুলনা টাইটান্সের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ চার ওভার বল করে ১২ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন। একটি ওভার মেডেন করেন তিনি। তাইজুল ইসলাম চার ওভারে ১০ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন। এছাড়া জুনায়েদ খান ৩টি ও ডেভিড ওয়াইজ ১টি করে উইকেট শিকার করেন।
রাজশাহী ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারেই প্রথম উইকেট হারায়। জুনায়েদ খানের বলে তাইজুলের হাতে ধরা পড়েন লরি ইভান্স। চতুর্থ ওভার থেকে ১৫তম ওভার পর্যন্ত দুই প্রান্ত থেকে স্পিন দিয়ে আক্রমণ করতে থাকে খুলনা। তাতে সফলতাও পায় তারা। পঞ্চম ওভারে মুমিনুল হককে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন রিয়াদ।
ষষ্ঠ ওভারের দ্বিতীয় বলে মিরাজকে ও চতুর্থ বলে সৌম্যকে ফেরান তাইজুল। নবম ওভারে ব্র্যাথওয়েটের হাতে বানিয়ে জাকির হাসানকে ফেরান রিয়াদ। ১২তম ওভারে তাইজুলের বলে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ হন রায়ান টেন ডেসকাট। ১৬তম ওভারে ক্রিশ্চিয়ান জঙ্কারকে ফেরান জুনায়েদ খান।
১৭তম ওভারে ওয়াইজের বলে জুনায়েদ খানের তালুবন্দী হন উদানা। জুনায়েদ খানের করা ২০তম ওভারের তৃতীয় বলে রান আউট হন কামরুল ইসলাম রাব্বী। পঞ্চম বলে ব্র্যাথওয়েটের হাতে ক্যাচ হন আরাফাত সানি।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১২৮ রান সংগ্রহ করে খুলনা টাইটান্স। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৬ রান করেন আরিফুল হক। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৫ রান করেন ডেভিড মালান। রাজশাহী কিংসের পক্ষে মোস্তাফিজুর রহমান ১টি, ইসুরু উদানা ২টি, মেহেদী হাসান মিরাজ ২টি ও আরাফাত সানি ২টি করে উইকেট শিকার করেন।
খুলনা ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ১৫ রানে প্রথম উইকেট হারায়। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ইসুরু উদানার বলে আরাফাত সানির হাতে ক্যাচ হন ওপেনার জহুরুল ইসলাম। পঞ্চম ওভারে মেহেদী হাসান মিরাজের বলে বোল্ড হন জুনায়েদ সিদ্দিক। এভাবেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে খুলনা।
দলীয় ৪৯ রানে মিরাজের বলে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন ডেভিড মালান। দলের রান যখন ৬৫ তখন আরাফাত সানির বলে জঙ্কারের হাতে ক্যাচ হন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দলীয় ৭৭ রানে রান আউট হন নাজমুল হোসেন শান্ত। ক্যারিবীয় তারকা কার্লোস ব্র্যাথওয়েটও হতাশ করেন। দলীয় ৮২ রানে আরাফাত সানির বলে এলবিডব্লিউ হন তিনি।
ব্র্যাথওয়েট আউট হয়েছিলেন ১৩তম ওভারে। এরপর আরিফুল হক ও ডেভিড ওয়াইজ দলকে কিছুটা এগিয়ে দেন। দুজনে মিলে ৩৪ রানের জুটি গড়েন। ১৯তম ওভারে ইসুরু উদানার বলে মিরাজের হাতে ক্যাচ হন ওয়াইজ। মোস্তাফিজুর রহমানের করা ২০তম ওভারের দ্বিতীয় বলে লরি ইভান্সের হাতে ক্যাচ হন আরিফুল হক। তৃতীয় বলে রান আউট হন তাইজুল ইসলাম। দুর্দান্ত বোলিং করায় ম্যাচ সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার পান তাইজুল ইসলাম।