শুরুটা ভালো হলো না সিলেট সিক্সার্সের

47

স্পোর্টস ডেস্ক :
সিলেটে শুরুটা ভালো হলো না সিলেট সিক্সার্সের। ব্যাটিং ব্যর্থতায় বড় ব্যবধানে হারতে হলো তাদের। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) মঙ্গলবার সিলেট পর্বের প্রথম দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের কাছে ৮ উইকেটে হেরেছে তারা। এর আগে ঢাকায় কুমিল্লার কাছে চার উইকেটে হেরেছিল সিলেট। কুমিল্লা এখন পর্যন্ত পাঁচ ম্যাচ খেলে তিনটিতে জয় পেয়েছে ও দুইটিতে হেরেছে। ছয় পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে এখন দ্বিতীয় অবস্থানে আছে তারা। অন্যদিকে, সিলেট চার ম্যাচ খেলে একটিতে জিতেছে ও তিনটিতে হেরেছে। পয়েন্ট টেবিলে তারা সবার নিচে অবস্থান করছে।
সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে সিলেট সিক্সার্সের দেয়া ৬৯ রানের জয়ের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ১১.১ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৪ রান করে অপরাজিত থাকেন শামসুর রহমান। ২২ বলে ৩০ রান করে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। সিলেটের পক্ষে সোহেল তানভীর একটি উইকেট শিকার করেন।
কুমিল্লা ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারেই উইকেট হারায়। রান আউট হয়ে ফিরে যান এনামুল হক বিজয়। তিনি রানের খাতা খুলতে পারেননি। তৃতীয় ওভারে তামিম ইকবালকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন সোহেল তানভীর। তামিমও রানের খাতা খুলতে পারেননি।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ১৪.৫ ওভারে ৬৮ রানে অলআউট হয় সিলেট সিক্সার্স। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৩ রান করে অপরাজিত থাকেন অলক কাপালি। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মেহেদী হাসান ৪টি, ওয়াহাব রিয়াজ ৩টি, লিয়াম ডসন ২টি ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ১টি করে উইকেট শিকার করেন।
ইনিংসের প্রথম ওভারে কোনো রান নিতে পারেনি সিলেট। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের করা ওভারটি মেডেন হয়। দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে আসেন অফস্পিনার মেহেদী হাসান। এই ওভারে পাঁচ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন তিনি। ওভারের দ্বিতীয় বলে আন্দ্রে ফ্লেচারকে বোল্ড করেন তিনি। দুই বলে চার রান করেন ফ্লেচার। চতুর্থ বলে বোল্ড হন অপর ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার। সাত বলে শূন্য রান করেন তিনি। পঞ্চম বলে এলবিডব্লিউ হন আফিফ হোসেন। এক বলে শূন্য রান করেন আফিফ।
তৃতীয় ওভারের শেষ বলে নিকোলাস পুরানকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন সাইফউদ্দিন। তিন বলে শূন্য রান করেন পুরান। পঞ্চম ওভারে লিয়াম ডসনের বলে ওয়াহাব রিয়াজের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন লিটন দাস। ১৩ বলে তিনি করেন ৬ রান। সপ্তম ওভারে সাব্বির রহমানকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন ডসন। ১২ বলে ৬ রান করেন সাব্বির। অষ্টম ওভারে মেহেদীর বলে এলবিডব্লিউ হন সোহেল তানভীর।
দলীয় ২২ রানে সাত উইকেট পড়ে যাওয়ার পর অলক কাপালি ও তাসকিন আহমেদ ধৈর্য্য সহকারে ব্যাটিং করার চেষ্টা করেন। কিন্তু বেশিদূর এগোতে পারেননি। দলীয় ৪৫ রানে ওয়াহাব রিয়াজের বলে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ হন তাসকিন। ৯ বলে চার রান করেন তিনি। ১৩তম ওভারে নাবিল সামাদকে ও ১৫তম ওভারে আল-আমিন হোসেনকে বোল্ড করেন ওয়াহাব রিয়াজ। প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন কুমিল্লার মেহেদী হাসান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ফল: আট উইকেটে জয়ী কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
সিলেট সিক্সার্স ইনিংস: ৬৮ (১৪.৫ ওভার)
(ডেভিড ওয়ার্নার ০, আন্দ্রে ফ্লেচার ৪, লিটন দাস ৬, আফিফ হোসেন ০, নিকোলাস পুরান ০, সাব্বির রহমান ৬, অলক কাপালি ৩৩*, সোহেল তানভীর ৫, তাসকিন আহমেদ ৪, নাবিল সামাদ ০, আল-আমিন হোসেন ৫; মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ১/১৮, মেহেদী হাসান ৪/২২, ওয়াহাব রিয়াজ ৩/১৫, লিয়াম ডসন ২/৪, শহীদ আফ্রিদি ০/৮)।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ইনিংস: ৬৯/২ (১১.১ ওভার)
(এনামুল হক বিজয় ০, তামিম ইকবাল ০, শামসুর রহমান ৩৪*, ইমরুল কায়েস ৩০*; সোহেল তানভীর ১/১০, আফিফ হোসেন ০/১০, নাবিল সামাদ ০/১৫, তাসকিন আহমেদ ০/৮, অলক কাপালি ০/১৩, আল-আমিন হোসেন ০/১০)।
প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ: মেহেদী হাসান (কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স)।