কাজিরবাজার ডেস্ক :
সোমবার শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শপথ নিতে যাওয়া মন্ত্রিসভায় চমক আসছে। জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তবে এই চমক কী হবে, সেটা প্রকাশ করেননি তিনি।
৩০ ডিসেম্বরের ভোটে নিরঙ্কুশ জয় পাওয়া আওয়ামী লীগ নেত্রীকে বৃহস্পতিবার সরকার গঠনের আমন্ত্রণ জানান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। নতুন সরকারের প্রধানমন্ত্রী আবার শেখ হাসিনা হতে যাচ্ছেন, সেটা নিশ্চিত হয়ে গেছে সেদিনই। দলের সংসদীয় দল বরাবরের মতো বঙ্গবন্ধু কন্যাকেই বানিয়েছে সংসদীয় দলের নেতা।
মন্ত্রিসভা নিয়ে এখন যত প্রশ্ন, তার সবই কে কোন মন্ত্রণালয় পাচ্ছেন, নতুন মুখ হিসেবে কারা যোগ হচ্ছেন, কারা বাদ পড়ছেন এ নিয়ে। দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমে বিভিন্ন নামও আসছে। যদিও নিশ্চিত করে বিষয়টি কেউ বলছেন না। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এর সবই শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের ব্যাপার।
শুক্রবার ধানমন্ডিতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে ওবায়দুল কাদের এই বিষয়টি নিয়ে বেশ কিছু কথা বলেন।
কারো নাম না নিয়ে কাদের বলেন, ‘আমার কেন যেন মনে হয় বিশাল একটা চমক আসবে।’
‘নবীন প্রবীণের সমন্বয়ের আওয়ামী লীগের পথ চলা। তবে বিশাল জয়ের সঙ্গে বিশাল চমকও থাকতে পারে।’
নাম জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘এই কেবিনেটে আমি ঠিক বলতে পারছি না। তবে আমার মনে হয় বিপুল বিজয় তো বিপুল প্রত্যাশা। বিশাল বিজয়ের সঙ্গে বিশাল প্রত্যাশা। জনগণেরও এখানে একটা প্রত্যাশা রয়েছে। সেই প্রত্যাশার প্রতিধ্বনিতো করতে পারে একজনই (শেখ হাসিনা)।’
‘কেবিনেটের বিষয়টা সম্পূর্ণ তার (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) বিষয়। এটা প্রধানমন্ত্রীর এরিয়া, এখানে অন্য কারো প্রবেশের সুযোগ নেই।’
বিপুল বিজয় ‘হাসিনা ম্যাজিকে’
৩০ ডিসেম্বরের ভোটে আওয়ামী লীগের বিপুল জয়ের পেছনে শেখ হাসিনা জাদু কাজ করেছে বলেই ধারণা কাদেরের। বলেন, ‘এটা নিঃসন্দেহে বলা যায় এই নির্বাচনে বিজয়ের মূল চালিকা শক্তি হচ্ছে হাসিনা ম্যাজিক। এটা হলো বাস্তবতা।’
‘এটা আমাদের লিডারের প্রতি জনগণের, তার উন্নয়ন, তার রাজনীতি, তার স্বচ্ছতা, তার সততা, তার যোগ্যতা, দক্ষতার প্রতি জনগণের সমর্থন।’
ভোটে কারচুপি নিয়ে বিএনপির অভিযোগেরও জবাব দেন আওয়ামী লীগ নেতা। বলেন, ‘ এসব বিরোধী দলসুলভ। নির্বাচন পরবর্তী যে সিনারিও, হেরে গেলে যে সিনারিও, যে দৃশ্যপট জন্ম নেয়। সেই দৃশ্যপটেরই পুনরাবৃত্তি আমরা বার বার দেখি। এটা এক সময় থেমে যাবে। কারণ বাংলাদেশের জনগণ স্বতস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছে উন্নয়নের পক্ষে, আমাদের নেত্রীর ব্যক্তিগত সততা ও ক্যারিশমার পক্ষে।’
‘ভুলের চোরাবালিতে আটকাবে বিএনপি’
বিএনপির জোট ঐক্যফ্রন্ট থেকে নির্বাচিতদের শপথ নেওয়ার আহ্বানও জানান কাদের। বলেন, ‘পার্টির পক্ষ থেকে, সরকারের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ করেছি, তাদের অনুরোধ করছি জনগণের রায়কে অসম্মান করা উচিত নয়।’
‘জনগণ যে রায় দিয়েছে, যেটুকু রায় দিয়েছে এটা তাদের সম্মান করা উচিত। সেটা তারা যখন সম্মান করতে ব্যর্থতার বৃত্তে তাদের আটকে থাকতে হবে।’
‘গতবারও তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে যে ভুল করেছে সে ভুলের চোরাবালিতে তারা এখনো আটকে আছে। এবার যদি একই ভুল করে, কিছু আসনে জয় লাভ করেও যদি তারা সংসদে যোগ না দেয়।’
‘অধিবেশনে যদি না আসে, যে জনগণ তাদের ভোট দিয়েছে তাদের পক্ষে কথা বলতে যদি তারা সংসদে যোগ দিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে এই ব্যর্থতা আর ভুলের চোরাবালিতে তাদেরকে আবার আটকে থাকতে হবে।’