ভোট বর্জন করলেন যেসব প্রার্থী

36

কাজিরবাজার ডেস্ক :
ভোট গ্রহণের সময় বাকি আর মাত্র কিছু সময়। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন একাধিক প্রার্থী। বিএনপি-জামায়াত-ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত একাধিক প্রার্থীসহ স্বতন্ত্র প্রার্থীও বিভিন্ন অভিযোগ তুলে একে একে নির্বাচন বর্জন করেছেন।
ঢাকা-১ : এ আসন থেকে সরে দাঁড়াল স্বতন্ত্র প্রার্থী এডভোকেট সালমা ইসলাম। ভোটের আগের রাতেই ব্যালট পেপারে সিল মেরে বাক্স ভর্তি করা হয়েছে অভিযোগ করে ভোট বর্জন করেন তিনি। রবিবার দুপুর ১২টার দিকে এ ঘোষণা দেন সালমা ইসলাম।
ঢাকা-১৭ : এ আসনে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) প্রার্থী আন্দালিব রহমান পার্থ নির্বাচন বর্জন করেছেন। রবিবার বেলা সোয়া ১টার দিকে এ সিদ্ধান্তের কাছে জানান তিনি। তার অভিযোগ, ৮০টি কেন্দ্র থেকে তার পোলিং এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ এবং আওয়ামী লীগ কর্মীরা বেপরোয়াভাবে তার কর্মীদের লাঠিপেটা করেছে। নির্বাচন বর্জনের এই সিদ্ধান্ত বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকেও জানিয়েছেন বলে জানান তিনি।
ফরিদপুর-২ (নগরকান্দাশালথা) : এ আসনে বিএনপির প্রার্থী শামা ওবায়েদ ইসলাম নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভোট বর্জনের ঘোষণা সময় তিনি অভিযোগ করেন, এই আসনের ১২৩টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ১০০টি কেন্দ্রে গতকাল রাতেই ভোট দিয়ে দেওয়া হয়েছে। সকালে যেসব কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে সেসব কেন্দ্রে বিএনপির কোনো পোলিং এজেন্টকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এর প্রতিবাদে নিজেও ভোট দেননি তিনি।
খুলনা-১ (দাকোপ-বটিয়াঘাটা) : এ আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী সুনীল শুভ রায় ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। কেন্দ্র দখলের অভিযোগ এনে রবিবার সকালে ভোট শুরুর পরই তিনি ভোট বর্জন করেন। তার অভিযোগ, ‘ওই আসনের সকল কেন্দ্র আওয়ামী লীগ দখল করে নিয়েছে।’ এ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আমির এজাজ খান দুপুর ১২টার দিকে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন।
খুলনা-৩ : এ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী রকিবুল ইসলাম বকুল দুপুর ১২টার দিকে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন।
খুলনা-৪ : এ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আজীজুল বারী হেলাল দুপুর ১২টার দিকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।
খুলনা-৫ : এ আসনে নির্বাচন বর্জন করেছেন ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী জামায়াতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মিয়া গোলাম পরওয়ার। রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিনি ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। ভোটারদের কেন্দ্রে ঢুকতে না দেওয়া, এজেন্টদের কেন্দ্রে ঢুকতে বাধা দেওয়া,দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের ঘটনাগুলো রিটার্নিং কর্মকর্তাকে অবহিত করার পরও কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় তিনি ভোট বর্জন করেছেন বলে জানিয়েছেন।
শেরপুর-৩ : এ আসনের বিএনপি প্রার্থী ও দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. মাহমুদুল হক রুবেল ভোট বর্জনে ঘোষণা দিয়েছেন। রবিবার শেরপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন। তার অভিযোগ, ‘নির্বাচনের আগে রাতেই আঁধারেই অধিকাংশ ভোট কাস্ট করে নিয়েছে আওয়ামী লীগ। ভোট শুরুর এক ঘণ্টার মধ্যে সকল কেন্দ্র থেকেই আমার পোলিং এজেন্টকে বের করে দেওয়া হয়েছে। কর্মী-সমর্থকদের কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।’
বাগেরহাট-৩ : এ আসনে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেওয়া জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মোহাম্মদ আবদুল ওয়াদুদ নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।
বাগেরহাট-৪ : এ আসনে জেলা জামায়াতের শুরা সদস্য মো. আবদুল আলীম বেলা ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে ভোট বর্জন করেন। এ আসন থেকে জাপার উন্মুক্ত প্রার্থী সোমনাথ দে ভোট বর্জন করেছেন।
পাবনা-৫ : এ আসনে ঐক্যফ্রন্ট থেকে মনোনীত প্রার্থী ইকবাল হোসেন নির্বাচন বর্জন করেছেন। তার অভিযোগ, ভোট কেন্দ্রে পোলিং এজেন্টদের মারধোর করাসহ কেন্দ্রে ঢুকতে না দেওয়া।
জামালপুর-২ (ইসলামপুর) : এ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী সুলতান মাহমুদ বাবু ভোট বর্জন করেছেন। রবিবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন। ভোটারদের কেন্দ্রে ঢুকতে না দেওয়া, কর্মী-সমর্থকদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ এনে তিনি নির্বাচন বর্জন করেন।
বগুড়া-৪ : এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম দুবৃর্ত্তদের হামলার অভিযোগ এনে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।