‘চাইলেই আমি টেম্পারিং পরিকল্পনা থামাতে পারতাম’

214

ক্রীড়াঙ্গন রিপোর্ট :
কেপটাউন বল টেম্পারিং জীবনটাই বদলে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথের। ক্যারিয়ারের স্বর্ণ সময়ে যেনো হঠাৎ করেই সব হারিয়ে বসলেন। মাঠ ও মাঠের বাইরে শুধুই হতাশার সংবাদ। শুধু নিজের জীবনেই নয় অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট আভিজাত্যেও লেগেছে কালো দাগ।
সে ঘটনায় এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হন জাতীয় দল থেকে। তার সঙ্গেই এক বছরের জন্য সাবেক সহ অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার ও ৯ মাসের জন্য ক্যামেরন ব্যানক্রাফটকে নিষিদ্ধ করে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। শাস্তির মেয়াদ প্রায় শেষের দিকে তাদের। এত দিন পর ২৯ বছর বয়সী স্মিথ সে ঘটনা নিয়ে দীর্ঘ সময় কথা বললেন সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে।
বেড়িয়ে এলো অনেক অজানা কথা। তার কথায়ই জানা যায়, টেম্পারিংয়ের পরিকল্পনা তার সামনে তার রুমেই হয়, যা ইচ্ছা করলেই তিনি থামাতে পারতেন। সিডনিতে আনুষ্ঠানিক এক সংবাদ সম্মেলনে স্মিথ জানান তার বিগত নয় মাসের অভিজ্ঞতা, জীবন যাপন ও সে সময়ের নানান কথা।
বলেন, ‘আমি এখন ঠিক আছি। দক্ষিণ আফ্রিকায় সে ঘটনার পর তাৎক্ষণিকভাবে ভেঙে পড়েছিলাম, অনেক খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। তবে এখন আর সেসব নেই। অনেক উঁচুনিচু ছিলো সময়গুলো। সেসব কাটিয়ে আমি এখন ঠিক আছি, সঠিক পথেই এগুচ্ছি।’
‘আমার অনেক কঠিন সময় গিয়েছে। তবে আমি ভাগ্যবান যে খারাপ সময়ে আমি আমার পাশে কিছু ভালো মানুষের সান্নিধ্য পেয়েছি। যারা আমাকে ভেঙে পড়তে দেয়নি। তারা আমাকে বারবার বুঝিয়েছে হ্যাঁ আমি ভুল করেছি কিন্তু এখানেই সব শেষ নয়। আমাকে আবার শুরু করতে হবে এবং আমি সেই পথেই হাঁটছি।’
স্মিথ জানান, সরাসরি না হলেও নীরবে সমর্থন দিয়ে তিনি অপরাধ করেছেন। অধিনায়ক হয়েও সতীর্থদের সে কাজে বাঁধা না দেয়াই তার সবচেয়ে বড় অপরাধ বলে মনে করেন তিনি।
স্মিথ বলেন, ‘আমি আসলে তখন কি হচ্ছিলো তা দেখতেও চাইনি এবং হেটে চলে গিয়েছি। কিন্তু আমি ব্যাপারটা দেখেছি এবং বুঝেছিলামও যে কি হতে যাচ্ছে। আমার ভুল ছিলো যে আমি তা দেখেও তাদের থামাইনি। তখন যদি আমি তাদের বলতাম যে এমন করো না, তাহলে হয়তো ঘটনা অন্যরকমও হতে পারতো। চাইলেই আমি টেম্পারিং পরিকল্পনা থামাতে পারতাম, করিনি। এটাই আমার ব্যর্থতা ছিলো, আমি তা নিজের কাঁধেই নিয়েছি।’