কাজিরবাজার ডেস্ক :
দেশের প্রত্যেক জায়গায় নির্বাচনের আমেজ, স্বতঃস্ফূর্ত পরিবেশ, মানুষের মধ্যে নির্বাচনের আগ্রহ, চিন্তা, পরিকল্পনা এগুলো দেখে আমরা অভিভূত হই। সুতরাং মানুষের সেই আগ্রহ ও আস্থার জায়গা যেন আমাদের কারো ভুলের কারণে ব্যাহত না হয়, সেটা লক্ষ্য রাখতে হবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা এসব কথা বলেছেন।
বুধবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (ইটিআই) ভবনে নির্বাচনের দিন সফটওয়্যার-সংক্রান্ত ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (ইএমএস), ক্যান্ডিডেট ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিআইএমএস) এবং রেজাল্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (আরএমএস) প্রশিক্ষণে এসব কথা বলেন সিইসি।
ভোটের ফল গণনাকারীদের নির্দেশ দিয়ে সিইসি বলেছেন, ফল গণনাকারীদের সামান্য ভুলের কারণে ব্যাপক অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। একটু ভুলে নির্বাচন যেন পণ্ড না হয়, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। নির্বাচনে টেকনিক্যাল পারসনের জায়গা খুব গুরুত্বপূর্ণ। সুন্দরভাবে প্রশিক্ষণ নিতে হবে এবং মাঠে গিয়ে সঠিক দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে আপনাদের তা প্রমাণ করতে হবে। সঠিক ফলাফল ঘোষণা করে সঠিক ব্যক্তির কাছে, সঠিক দায়িত্ব পৌঁছে যায় এবং সঠিকভাবে দেশ যেন পরিচালিত হয়, সেটা আপনাদের খেয়াল রাখতে হবে।
এ সময় তিনি বলেন, সারাদেশের ফলাফল সফটওয়্যারের মাধ্যমে আসে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা ভুল করলে সমস্ত নির্বাচন ব্যবস্থা ভুল হবে না। এতে সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যা সংশোধন করা যাবে। কিন্তু ফল গণনাকারীদের সামান্য সংখ্যার ভুল হলে নির্বাচনের ফল উল্টে যেতে পারে। রান্নার সময় যেমন খাবারে লবণ না দিলে স্বাদ হয় না, ঠিক তেমনি সামান্য সংখ্যার ভুলে ফল ওলটপালট হয়ে যায়। আপনাদের দক্ষতা, মেধা ও আগ্রহ দিয়ে নির্বাচনকে সুষ্ঠু করতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশ্যে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, ‘বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে আমাদের বৈঠক হয়েছিল। তারা আমাদের বলেছেন, ভোটের দিন ইন্টারনেটের গতি কমিয়ে দিতে হবে। ইন্টারনেটের গতি কমিয়ে দিলে আপনাদের কী কোনো অসুবিধা হবে?’
প্রশিক্ষণার্থীদের অসুবিধা হবে বলে সমস্বরে জানালে ইসি সচিব বলেন, ‘আপনারা তো রেজাল্ট পাঠাবেন ৫টার পর থেকে। যদি ৫টার পর থেকেই ইন্টারনেটের গতি স্বাভাবিক থাকে তাহলে তো সমস্যা নেই। অর্থাৎ বিকেল ৪টার পর ফুল স্পিডে ইন্টারনেট থাকলে আপনারা ওকে।
অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, ইটিআইয়ের মহাপরিচালক মোস্তফা ফারুক, পরিচালক ফরহাদ হোসেন, বেলায়েত হোসেন উপস্থিত ছিলেন।