স্টাফ রিপোর্টার :
শাহপরাণে যুবলীগের দু’গ্র“পের মধ্যে সংঘর্ষে পুলিশসহ ৩ জন আহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে খাদিমপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান যুবলীগ নেতা এডভোকেট আফছর আহমদ ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের অনুসারীদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের পর সিলেট-তামাবিল সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৩০ জুন সিলেট জেলা যুবলীগের বর্ধিত সভায় যোগ দেয়া নিয়ে এডভোকেট আফছরের অনুসারী এক কর্মীর উপর হামলা চালায় জাহাঙ্গীর আলমের অনুসারীরা। এর প্রতিবাদে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে শাহপরাণ বাজার এলাকায় প্রতিবাদ মিছিল করে এডভোকেট আফছর বলয়ের নেতাকর্মীরা। মিছিল শেষে সেখানেই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দু’পক্ষ। উভয়পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় পুরো এলাকা জুড়ে আতংকের সৃষ্টি হয়। এছাড়া সিলেট-তামাবিল সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও এক সময় শাহপরাণ (র.) থানা পুলিশ অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। খাদিমপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ অফিসসহ কয়েকটি দোকানপাট হামলা-ভাংচুর করা হয়। ঘন্টাব্যাপী চলা এ সংঘর্ষে পুলিশসহ ৩ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়াও ৩টি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয় এবং রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে তারা। খবর পেয়ে জালালাবাদ সেনানিবাস এলাকার দমকল বাহিনীর দু’টি ইউনিট আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে যায়। সংঘর্ষের ঘটনায় এডভোকেট আফছর আহমদের ভাতিজা তাজির গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। রাত ৮ টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জাহাঙ্গীর আলমের গ্রেফতারের দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে রেখেছিল এডভোকেট আফছর অনুসারীরা।
শাহপরাণ (র.) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখন সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করে দেয়া হয়েছে।