বড়লেখা থেকে সংবাদদাতা :
বড়লেখার হাজীগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ীর ছিনতাই হওয়া ১০ লাখ টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ। ছিনতাই হওয়ার ৪ ঘন্টার মধ্যেই অভিযান চালিয়ে বড়লেখা থানা পুলিশ উদ্ধার ও ঘটনার সাথে জড়িত দুইজন ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেন। এসময় ছিনতাইয়ের কাছে ব্যবহৃত মোটর সাইকেলটিও জব্দ করা হয়েছে। ৭ ডিসেম্বর দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার তালিমপুর ইউনিয়নের তালিমপুরে এ ছিনতাইয়ের ঘটনাটি ঘটেছে। ছিনতাইয়ের শিকার ব্যবসয়ীর নাম জুনেদ আহমদ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার রাত ১২টার দিকে বড়লেখা উপজেলা সদরের আড়তের ব্যবসায়ী জুনেদ আহমদ দোকানপাট বন্ধ করে গ্রামের বাড়ি বাহারপুরে যান। বাড়ির সামনে পৌঁছামাত্র মাত্রই আচমকা মোটর সাইকেল যোগে চারজন ছিনতাইকারী ব্যবসায়ী জুনেদের পথরোধ করে দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। এরপর তাঁর কাছে থাকা বিক্রির ১০ লাখ ৮৬০ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে দ্রুত তারা পালিয়ে যায়। ঘটনায় হতভম্ব ব্যবসায়ী জুনেদ আহমদ ঘটনার পরই বড়লেখা থানায় গিয়ে পুলিশকে বিষয়টি জানান। বড়লেখা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাজহারুল ইসলাম ও এসআই অমিতাভ দাস তালুকদার রাতেই অভিযানে নামেন। চার ঘন্টার রুদ্ধশ্বাস অভিযানে প্রথমে মাহফুজ আলমকে এবং পরে মাহফুজের কথামতো জাকারিয়াকে গ্রেফতার করেন। তাদের কাছ থেকে ছিনতাই হওয়া পুরো টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাইকাজে ব্যবহৃত একটি মোটর সাইকেলও উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় জুনেদ আহমদ বাদী হয়ে গ্রেফতার দুজনসহ অজ্ঞাতনামা আরও দুজনকে আসামি করে চার জনের নামে গতকাল শনিবার বড়লেখা থানায় মামলা করেছেন।
গ্রেফতারকৃত দুই ছিনতাইকারী হচ্ছেন-তালিমপুর ইউনিয়নের তালিমপুর গ্রামের মঈনুল ইসলাম ওরফে ময়না মিয়ার ছেলে মো. মাহফুজ আলম ওরফে তুহিন (২১) ও উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের কুমারশাইল গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে জাকারিয়া (২১)। ওই ব্যবসায়ী বাদী হয়ে থানায় আটককৃত দুজন ও অজ্ঞাতনামা আরো দুজনসহ চারজনের নামে মামলা করেছেন।
বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইয়াছিনুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘রাতেই ওই ব্যবসায়ী ঘটনাটি আমাকে জানান। খবর পেয়ে সাথে সাথেই অভিযানে নামে পুলিশ। আনুমানিক চারঘন্টার অভিযানে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে ছিনতাই হওয়া পুরো টাকাটাই উদ্ধার করা হয়েছে। ছিনতাইকাজে ব্যবহৃত একটি মোটর সাইকেলও উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত দুজনকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’