কায়রো চলচ্চিত্র উৎসবে ‘শরীর দেখানো পোশাক পরার কারণে’ রানিয়া ইউসেফ নামে এক মিশরীয় অভিনেত্রীকে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন আমরো আবদেলসালাম এবং সামির সাবরি নামে দুই আইনজীবী। অভিযোগ প্রমাণিত হলে এই অভিনেত্রীর পাঁচ বছরের জেল হতে পারে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
আইনজীবী সামির সাবরির অভিযোগ, অভিনেত্রী রানিয়া যে ধরণের পোশাক পরেছিলেন সেটা মিশরের সামাজিক মূল্যবোধ, ঐতিহ্য ও নৈতিকতার পরিপন্থী ছিল। এতে চলচ্চিত্র উৎসব ও মিশরের নারীদের সুনাম ক্ষুণ্ণ হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। এদিকে মিশরীয় অভিনেতাদের একটি সংগঠনও রানিয়াসহ কিছু অতিথিদের পোশাকের নিন্দা করেছে।
কিন্তু কী পোশাক পরেছিলেন অভিনেত্রী? বিবিসির খবর বলছে, রানিয়া একটি স্বচ্ছ লেস লাগানো কালো কাপড়ের পোশাক পরেছিলেন। যাতে তার পায়ের পাতা থেকে উরু পর্যন্ত দেখা যাচ্ছিল। এতে ক্ষুব্ধ হয়েছেন অনেক মিশরীয়। অনেকে আবার অভিনেত্রীর পক্ষ নিয়ে বলেছেন, তিনি নিজের ইচ্ছামতো যেকোনো পোশাকই পরতে পারেন।
রানিয়া অবশ্য এরই মধ্যে নিজের এই পোশাক বিতর্কের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে ৪৪ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী বলেন, পোশাকটি নিয়ে এত বিতর্ক তৈরি হবে জানলে তিনি এটা পরতেন না। তার পোশাক নির্বাচনটা ভুল ছিল বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তবে এটাই প্রথম নয়। গত বছর শায়মা আহমেদ নামে একজন গায়িকাকে মিশরের আদালত দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল। তাকে একটি মিউজিক ভিডিওতে অন্তর্বাস পরে আপত্তিকর ভঙ্গিতে কলা খেতে দেখা গিয়েছিল।পরে অবশ্য তার দণ্ড কমিয়ে এক বছর করা হয়। এছাড়া গত জানুয়ারিতে মিউজিক ভিডিওতে একই ধরণের অঙ্গভঙ্গি দেখানোয় লায়লা আমির নামে এক গায়িকাকে আটক করা হয়েছিল।