উন্মুক্ত হউক তৃণমূল খুদে শিক্ষার্থীদের

7

খুদে তৃণমূল শিক্ষার্থীদের জন্য শহীদ মিনার উন্মুক্ত করা হউক, যাতে প্রতিটি শিশু-কিশোর, প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিশু শিক্ষার্থীরা ছাড়াও পথকলি শিশু ও শিক্ষার্থীদের জন্য শহীদ মিনার উন্মুক্ত থাকলে তাদের মধ্যে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জন্মিবে। এতে ভবিশৎ প্রজে¥র মধ্যে ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম, মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি গভীর ভাবে চেতনার সৃষ্টি হবে।
দেশ বিভক্তের পর বাঙালি জাতি মাতৃভাষার জন্য বুকের তাজা রক্তের বিনিময়ে ৫২ এর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু হয় পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে গণ-আন্দোলন। বাঙালি ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে ৬ দফা, ১১ দফার দাবির ভিত্তিতে ৬৯ এর গণ-অভ্যুত্থান, ৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধ, ৭৫ এর ১৫ আগষ্টের বাঙালি জাতির বিশ্বাস ঘাতকদের হাতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ পরিবারকে হত্যা, ৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী গণ-অভ্যুত্থানসহ বিভিন্ন সময়ে প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নিহতদের স্মরণে প্রতিবছর নির্দিষ্ট দিনে শহীদ মিনারে বাঙালি জাতিয়তাবাদী জনতার উপস্তিতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এ সব শোকের দিনে শহীদ মিনারে দেশের তৃণমূল ছাত্র-জনতা, অনাথ শিশুসহ সর্বস্তরের মানুষের উপস্থিতি খুবই কম লক্ষ্য করা যায়। এসব শোক দিবস গুলোতে সর্বস্তরের ছাত্র-জনতাসহ শিশু-কিশোরদেরকে বেশি-বেশি করে সম্পৃক্ত করা খুবই প্রয়োজন। তাদের মধ্যে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জাগানো সম্ভব হবে।
বাঙালি জাতি বৃটিশ বিরোধী আন্দোলন শুরু করে মাতৃভাষা প্রতিষ্ঠার আন্দোলন থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধ করে যে বুকের তাজা রক্ত দিয়ে আত্মত্যাগের পরিচয় দিয়েছে, তা দেশের তৃণমূল পর্যায় জাগ্রত করে তোলার এখনই সময়। দেশে যে ভাবে সাম্প্রদায়িক শক্তির অপতৎপরতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, এখনও এ দেশে পশ্চিমদের তাবেদার ৭১ এর গণ-দুশমনের দল গুলোর আনাগোনা পরিলক্ষিত হচ্ছে। তারা এখনই সুকৌশলে এগিয়ে চলছে।
আমরা শত্তর দশক থেকে দেখছি, সাম্প্রদায়িকদের অপকৌশল তারা তাদের মতো সুযোগ খোঁজতে থাকে। তারা বাঙালির সাথে বিশ্বাসঘাতক স্বৈরাচার মোস্তাক সরকার, জিয়া সরকার, এরশাদ সরকারের সময়ে ও সূর বদলিয়ে সুবিধা আদায়ে দ্বিধা বোধ করেনি। তেমনি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকার পঠিত হওয়ার পরে ও তারা শোর বদলেছে।
তাই বাঙালির অতীত সংগ্রামের ইতিহাস সর্বস্তরের ছাত্র-জনতাকে জাগ্রত করতে প্রতিটি জাতীয় অনুষ্ঠান সমূহ সর্বত্র পালনের মাধ্যমে বাঙালি জাতিকে সচেতন করে তোলা সকলের নৈতিক দায়িত্ব। যা সচেতন মহলের প্রত্যাশা।