যে কারণে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা তুলে নিলেন সারিকা

76

বিনোদন ডেস্ক :
বিবাহোত্তর সংবর্ধনার মাসখানেকের মাথায় মডেল ও অভিনেত্রী সারিকা সাবরিন তার স্বামী জিএস বদরুদ্দিন আহমেদ রাহীর বিরুদ্ধে নির্যাতন ও যৌতুকের অভিযোগ এনে মামলা করেন।
গত বছরের নভেম্বরে সোমবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারাহ দিবার আদালতে সারিকা বাদী হয়ে এ মামলা করেন। তবে মামলাটি তুলে নিয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয়, বর্তমানে স্বামীর সঙ্গে একই ছাদের নিচে বসবাস করছেন এই অভিনেত্রী।
একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাতকারে সারিকা নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সারিকা বলেন, আমার স্বামী রাহি ক্ষমা চেয়েছে, আমি মামলা তুলে নিয়েছি। বিষয়টি নিয়ে দুই পরিবার বসেছিল। একসঙ্গে থাকার সুযোগ চেয়েছে রাহি। সেই অনুরোধে সাড়া দিয়ে আমরা এখন একসঙ্গে থাকছি।
তিনি বলেন, আমি রাহিকে ভালোবাসি। এখন রাহির ভাড়া করা বাসা বসুন্ধরায় আছি। আমাদের এক করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছেন আমার শ্বশুরবাড়ির লোকজন। তা ছাড়া আমিও চেয়েছি, সুন্দরভাবে সংসার করতে। কারণ, বিয়ে ভাঙা ভালো কিছু নয়। দুজনেরই পরিবার আছে, সমাজ আছে। এটা নিয়ে তারা তো বিব্রত অবস্থায় পড়ে। সুতরাং আমরা দুজনই একসঙ্গে সংসার চালাতে চেষ্টা করে যাচ্ছি।
গত বছরের ২ ফেব্রুয়ারি পারিবারিকভাবে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার রাহীকে বিয়ে করেন সারিকা। তবে বিয়েতে কোনো অনুষ্ঠান করেননি তারা। পরে জাঁকজমকপূর্ণভাবে বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে উভয় পরিবারের ঘনিষ্ঠজন ছাড়াও বিনোদন অঙ্গনের অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
বিবাহোত্তর সংবর্ধনার মাসখানেকের মাথায় স্বামীর বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ এনে আদালতে মামলা করলেন সারিকা। সারিকা গণমাধ্যমকে তখন জানিয়েছিলেন, স্বামীর কাছ থেকে দূরে আছেন তিনি। মা-বাবার সঙ্গে থাকছেন। বাধ্য হয়েই তিনি মামলা করেছেন।
তবে কী কারণে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন- এমন প্রশ্নে সারিকা বলেন, মানুষ চায় সবার আগে নিজে ভালো থাকতে, তারপর আশপাশের মানুষকে ভালো রাখতে। ওই সময় আমার ওপর দিয়ে খুব ঝড় বয়ে গিয়েছিল। মামলা করার আগেও চেষ্টা করেছি সমাধান করতে, হয়নি। পরে বাধ্য হয়েই কাজটি করতে হয়েছিল আমাকে। থাক, সেসব কথা এখন আর না বলি।
রাহী হলেন সারিকার দ্বিতীয় স্বামী। এর আগে ২০১৪ সালের ১২ আগস্ট বন্ধু মাহিম করিমের সঙ্গে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন। পুরান ঢাকার লক্ষ্মীবাজারের বাসিন্দা মাহিম পেশায় একজন ব্যবসায়ী। সাত বছর প্রেমের পর মাহিমের গলায় মালা পড়ান সারিকা। বিয়ের এক বছরের মাথায় সারিকার কোলজুড়ে আসে কন্যাসন্তান। ২০১৬ সালে সারিকার সেই সংসার ভেঙে যায়।