শীতের ধোঁয়া

39

স্বপন শর্মা

পাড়ার শেষে দক্ষিণ দিকে কুঁড়ে ঘরের বাড়ি
তার উঠোনের পূর্বপাশে খেঁজুর গাছের সারি
হেমন্তের ওই মাঝা-মাঝি অঘ্রাণ যখন আসে
খেঁজুর রসের মিষ্টি ঘ্রাণ বাও-বাতাসে ভাসে।

বাও-বাতাসে আরো ভাসে সরষে ফুলের ঘ্রাণ
ভোমরগুলো পাগলপরা আকুল করে প্রাণ।
ভেজায় লোভী শীতের বুড়ি রয়না বসে ঘরে-
রাতে আসে চুপি-চুপি হেমন্তের হাত ধরে।

হেমন্তে তাই শীতের পরশ হিমেল বায়ু বয়
আগাম এবার শীতকে দেখে লাগে ভীষণ ভয়
শীতের ভয়ে জড়োসড় বৃদ্ধ শিশু যারা-
কষ্টের ভয়ে সকল ভুলে হয় যে দিশেহারা।

পাড়ার শেষে ওই বাড়িটার বৃদ্ধ মানুষ যিনি
রোদের ডগায় মোড়ায় বসে গল্প করেন তিনি
গল্পে কতো পিঠা-পুলি পায়েস মুড়কী মোয়া
সবার মুখে উড়ছে যেনো নতুন শীতের ধোঁয়া।