১৫ ডিসেম্বরের পর মাঠে থাকবে সেনাবাহিনী

149

কাজিরবাজার ডেস্ক: নির্বাচনকে সামনে রেখে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসছে বলে বাহিনীর কর্মকর্তাদেরকে সতর্ক করে দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা। তবে প্রমাণ ছাড়া কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ নেয়া হবে না জানিয়ে সবাইকে পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের পরামর্শও দেন।
বৃহস্পতিবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এক অনুষ্ঠানে পুলিশের পুলিশের উদ্দেশে এসব কথা এ কথা বলেন সিইসি। সভায় চার নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব, অতিরিক্ত সচিব, জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব, নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক, আইজিপি, ঢাকার পুলিশ কমিশনারসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত রয়েছেন।
পুলিশের ওপর কমিশনের নজর রয়েছে, সেটিও জানিয়ে দেন সিইসি। বলেন, ‘নির্বাচন যেন কোনোভাবে প্রশ্নবিদ্ধ না হয়। আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব পালনে আমরা পূর্ণ স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি। তবে কমিশন আপনাদের কর্মকা- নজরদারি করবে।’
‘অলরেডি অভিযোগ আসা শুরু করেছে। তবে, নির্বিঘেœ দায়িত্ব পালন করবেন। ভালোভাবে যাচাই না করে আপনাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হবে না। এতে আপনাদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।’
ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের ফোন করে পুলিশ তাদের অতীতের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা জানতে চাইছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে সেটা নিয়েও কথা বলেন সিইসি।
‘বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের তথ্য সংগ্রহ করার কথা আমরা বলিনি। এটা আপনারা করবেন না। কারণ এটা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠে। যারা ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা তারা বিব্রত হন। আমরা এটা চাই না।’
‘যদি তথ্য সংগ্রহ করার প্রয়োজন হয় তাহলে কোনো ব্যক্তির তথ্য গোপন সূত্র ব্যবহার করে সংগ্রহ করতে পারেন। বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে তাদেরকে জিজ্ঞেস করার দরকার নেই। এটা আমরা চাই না।’
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছাড়া কাউকে আটক না করারও নির্দেশ দেয়া হয় বৈঠকে। সিইসি বলেন, ‘কাউকে বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেপ্তার করবেন না। মামলা করবে না। কাউকে হয়রানিমূলক মামলা বা গ্রেপ্তার করা যাবে না। আশা করি আপনারা এটা করছেনও না।’
‘এই নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা সব দল অংশ নেবে। নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি একা করা সম্ভব নয়। প্রজাতন্ত্রের সকলে মিলেই নির্বাচন সুষ্ঠু করতে কাজ করব।’
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা তুলে ধরে সিইসি বলেন, ‘নির্বাচনের সিংহভাগ দায়িত্ব পুলিশের থাকে। ভোটারের নিরাপত্তা থেকে শুরু করে সব ধরনের নিরাপত্তার দায়িত্ব আপনাদের উপরই বেশি থাকে।’
‘নির্বাচন পরর্বতী সহিংসতা রোধ করাও আপনাদের দায়িত্ব। ঐতিহ্যগতভাবেই এই দায়িত্বও আপনাদের। এবারো দেশের বৃহত্তম স্বার্থে আপনারা দায়িত্ব পালন করবেন। সংবিধান মতে কর্তৃত্ব নয়, বিবেক মতে কাজ করতে হবে। প্রজাতন্ত্রের সকলে নির্বাচন পরিচালনায় সহায়তা করবে। আমরা কারো উপর কতৃত্ব করব না।’
‘সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করুন’
জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে পুলিশকে সমন্বয় করে চলতে হবে বলে জানান সিইসি। বলেন, ১৫ ডিসেম্বরের পর সশস্ত্র বাহিনীর ছোট দল পুলিশের সঙ্গে দেখা করবে।
‘প্রতি জেলায় থাকবে সশস্ত্র বাহিনীর ছোট টিম। এদেরকে নিয়ে সমন্বয় করে কাজ করবেন। তাদের যাতায়াতের ব্যবস্থা করে রাখতে হবে। অন্যান্য বাহিনী ও ম্যাজিস্ট্রেটকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করবেন।’
‘পুলিশকে এখনই কৌশলগত পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। আইনশৃঙ্খলার বিভিন্ন পর্যায়ের তথ্য একমাত্র পুলিশেরই আছে।