ব্যবস্থাপনা ও পরিষেবা সংক্রান্ত ঘাটতি সত্ত্বেও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারা সার্বিক বিচারে সন্তোষজনক। জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৭ শতাংশের বেশি, বেড়েছে যোগাযোগ অবকাঠামো। বেশ কিছু আর্থ-সামাজিক সূচকেও প্রশংসনীয় অগ্রগতি হয়েছে। রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলগুলো ভালোভাবে কাজ করছে। সারা দেশে প্রস্তাবিত ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলে দেশি-বিদেশি উদ্যোক্তারা বিনিয়োগ করছে। আশাব্যঞ্জক খবর হলো, উদ্যোক্তা-বিনিয়োগকারীদের জন্য সরকার এক স্থান থেকে অনেক ধরনের পরিষেবা দেওয়ার ব্যবস্থা নিচ্ছে।
অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে বিনিয়োগকারীদের জন্য ২৭ ক্যাটাগরির ১২৩ ধরনের সেবা এক স্থান থেকে দেওয়া শুরু হবে আগামী মার্চে। অনেক দিন ধরে ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা এ দাবি জানিয়ে আসছিলেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) অনলাইনে এসব পরিষেবা দেওয়ার ব্যবস্থা করছে। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বেজার ওয়ানস্টপ সার্ভিস সেন্টারে এসব সেবা মিলবে। গত বুধবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগকারীদের জন্য ওয়ানস্টপ সার্ভিস বিষয়ক সেমিনারে বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান এ কথা বলেন।
উদ্যোক্তাদের জন্য গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানিসহ সব ধরনের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। ওয়ানস্টপ সার্ভিস সেন্টার চালু হলে এক স্থান থেকেই সব ধরনের সেবা পাওয়া যাবে। উদ্যোক্তাদের আর হয়রানির শিকার হতে হবে না। সরকারের এ উদ্যোগ দ্রুত কার্যকর হোক। সম্পূরক কাজগুলোও যথাযথভাবে সম্পন্ন করা হোক। দেশের বিপুল জনগোষ্ঠী এখন কর্মক্ষম। তাদের দক্ষ করে অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাজে লাগানো যেতে পারে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বেজার সব কাজের সেরা কাজ হবে ওয়ানস্টপ সার্ভিস সেন্টার চালু করা।
সারা দেশে এখন আটটি রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ইপিজেড) রয়েছে। এসব অঞ্চলের জন্য কোনো ওয়ানস্টপ সার্ভিস নেই। অর্থনৈতিক অঞ্চলও হচ্ছে। ফলে বিভিন্ন ধরনের পরিষেবা এক স্থান থেকে দেওয়ার প্রয়োজন বেড়েছে। ওয়ানস্টপ সার্ভিস সেন্টার যথাসময়ে ও যথাযথভাবে চালু হলে বাংলাদেশে বিনিয়োগের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল, বাংলাদেশ আকর্ষণীয় স্থানে পরিণত হবে—এ আশা করাই যায়। আমরা আশা করি, এ ব্যবস্থা সময়মতো চালু হবে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের সুষমতা বিধানে ভূমিকা রাখবে।