স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীর বহুল পরিচিত পাঁচ ভাই রেস্টুরেন্টে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে ১০১টি জবাই করা অতিথি ও পরিযায়ী পাখি জব্দ করা হয়েছে। এ সময় রেস্টুরেন্টটির ২ ম্যানেজারকে ৩ মাস করে বিনাশ্রমে কারাদন্ড দেন ভ্রাম্যমান আদালত। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ২টায় সিলেট জেলা প্রশাসন, র্যাব-৯ এবং বনবিভাগ যৌথভাবে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে খাবারের সাথে অতিথি পাখি অবৈধভাবে বিক্রি ও সংরক্ষণের অভিযোগে পাঁচ ভাই রেস্টুরেন্টের ২ ম্যানেজারকে আটক করা হয়। পরে বিকেল ৪ টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে ব্যবস্থাপক আব্দুল আওয়াল ও কাউসার আহমদকে ৩ মাস করে বিনাশ্রম কারাদন্ড দেন সিলেট জেলা প্রশাসনের এনডিসি মো. হেলাল চৌধুরী।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেটের নেতৃবৃন্দদের সাথে নিয়ে অভিযানে নামে র্যাব-৯, সিলেট জেলা প্রশাসন এবং বনবিভাগ। অভিযানে নেতৃত্ব দেন সিলেট জেলা প্রশাসনের এনডিসি মো. হেলাল চৌধুরী, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহাঙ্গীর আলম, র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৯) এর সিনিয়র এ.এস.পি মাঈন উদ্দিন চৌধুরী, বনবিভাগের রেঞ্জার মো. দেলোয়ার রহমান। অভিযানে সহযোগিতা করেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন-বাপা সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ছামির মাহমুদ ও বাপার সংগঠক বদর চৌধুরী।
অভিযানকালে পাঁচ ভাই রেস্টুরেন্টের ফ্রিজে সংরক্ষণ করা অবস্থায় ২৫ টি অতিথি পাখি গাঙ টিটি, ২৯ টি সাদা ও কানি বক ও ৮টি বালিহাস এবং রান্না করা আরো ৩৯ টি পাখির মাংস জব্দ করা হয়।
অভিযানকালে অবৈধভাবে পাখি বিক্রির অভিযোগে দুজনকে সাজা দিয়ে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরণ করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসনের এনডিসি মো. হেলাল চৌধুরী। তিনি বলেন, এরা অতিথি পাখি জবাই ও রান্না করে বিক্রি করে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে অপরাধ করেছেন। আটককৃতরা অপরাধ স্বীকার করায় তাদের প্রত্যেককে ৩ মাস করে কারাদন্ড দিয়ে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বাপা সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিম জানান, পাঁচ ভাই রেস্টুরেন্টে অবৈধভাবে পাখি বিক্রির অভিযোগটি দীর্ঘ দিনের। ৮/১০ দিন আগে বিষয়টি তিনি বনবিভাগকে জানান। কিন্তু আইনি কিছু বিধিনিষেধের কারণে এতে সম্পৃক্ত হয় র্যাব-৯ ও জেলা প্রশাসন এবং সর্বশেষ গতকাল মঙ্গলবার ক্রেতা সেজে পাখি রেস্টুরেন্টে আছে নিশ্চিত হয়ে প্রশাসনকে নিয়ে অভিযান চালানো হয়। কিম বলেন, নগরীর একটা জনপ্রিয় রেস্টুরেন্ট যদি এভাবে অবৈধ পাখি বিক্রি করে এবং সাধারণ মানুষও তা গ্রহণ করে তাহলে তো পাখি শিকারীরা উৎসাহিত হবে। এ ব্যাপারে আমাদের আরও সচেতন হওয়া উচিত।