ওসমানীনগর থেেেক সংবাদাদাতা :
ওসমানীনগরে কুশিয়ারা নদী থেকে বালু তুলতে গিয়ে ড্রেজার মেশিনে পেঁচিয়ে আব্দুর রশিদ (৫২) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার পশ্চিম পৈলনপুর ইউনিয়নের আলীপুর এলাকায় কুশিয়ারা নদিতে মেশিন চালাতে গিয়ে অপারেটর আব্দুর রশিদ মেশিনে ভেতর পেঁচিয়ে মারা যান। নিহত আব্দুর রশিদের বাড়ি পটুয়াকালি জেলায় কলে জানা গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। ঘটনাস্থল থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ড্রেজার মেশিনের তিন শ্রমিককে আটক করা হয় এবং বালু তুলার ড্রেজারটি পুলিশ জব্দ করে।
ওসমানীনগর থানার এসআই মনিরুল ইসলাম জানান, গতকাল মঙ্গলবার সকালে বালাগঞ্জ উপজেলার পূর্ব পৈলনপুর এলাকার বালুর ঠিকাদার ইমরান আলীর ড্রেজার মেশিন দিয়ে ওসমানীনগরের পশ্চিম পৈলনপুরের আলীপুর এলাকায় কুশিয়ারা নদী থেকে বালু তুলতে আসে ড্রেজার শ্রমিকরা। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ড্রেজার মেশিনের অপারেটর আব্দুর রশিদ মেশিন চালু করতে মেশিনের ভেতর তার হাত ঢুকে পরলে মেশিনে হাত পেচেয়ে সৌল্ডার থেকে আব্দুর রশিদের হাত দ্বিখন্ডিত হয়ে ঘটনাস্থলে তিনি মারা যান। খবর পেয়ে সাথে সাথে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করি এবং ড্রেজারের তিন শ্রমিককে জিজ্ঞাসাবদের জন্য থানায় নিয়ে আসি এ সময় ড্রেজারটিও জব্দ করা হয়।
এদিকে কুশিয়ারা নদীর ওসমানীনগর উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে অবৈধভাবে এলাকার কিছু প্রভাবশালীরা বালু উত্তোলন করে আসলেও প্রশাসন এ ব্যাপারে নিরব ভূমিকা পালন করে আসছে। কুশিয়ারা নদীতে দীর্ঘদিন ধরে এমরান এন্টারপ্রাইজ ও রাসেল এন্টারপ্রাইজ অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না। কুশিয়ারা নদী থেকে এসব বালু উত্তোলনের সাথে জরিত রয়েছেন ইউপি সদস্য, চেয়ারম্যান ও প্রভাবশালী মহল। নদী থেকে বালু উত্তোলনের ফলে সরকার হারাচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব। বালু উত্তোলনে এলাকার কেউ বাধা প্রদান করিলে বাধা প্রদানকারীকে বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদান করে যাচ্ছে বালু উত্তোলনকারীরা। এমকি মিথ্যা মামলা দিয়ে বাধা প্রদানকারীদের হয়রানী করা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ফলে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে ভয়ে কেউ কোন প্রকার প্রতিবাদ করতে পারচ্ছেন না।
এ ব্যাপারে রাসেল এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী রাসেল আহমদের সাথে এ প্রতিনিধি মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার সাথে সাথে তিনি ব্যস্ত বলে ফোন কেটে দেন। পরবর্তীতে তিনি আর মোবাইল ফোন রিসিভ করেন না।