কানাইঘাট থেকে সংবাদদাতা :
বাংলাদেশে বৈধ ভাবে আমদানীকৃত বিদেশী সিগারেট সহ দেশীয় সিগারেটের বাজার মূল্য বেশি হওয়ায় কানাইঘাটের সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে ভারত থেকে চোরাই পথে আনা অবৈধ বিদেশী ব্রান্ডের সিগারেটের ব্যবসা জমজমাট হয়ে উঠেছে। গত বুধবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কানাইঘাট থানা পুলিশ সীমান্ত এলাকা দিয়ে চোরাই পথে আনা বিদেশী ব্রান্ডের ৩ কার্টুন (৬০ হাজার পিস ছলাকা) সিগারেট সহ এক চোরাকারবারী কে পল্লীবিদ্যুৎ মোড় থেকে গ্রেফতার করেন। যার বাজার মূল্য অনুমানিক ২ লক্ষ ১০ হাজার টাকা বলে অভিযানের কর্মকর্তা থানার এসআই স্বপন চন্দ্র সরকার জানিয়েছেন। সিগারেট সহ গ্রেফতারকৃত নূর আহমদ (২৫) সীমান্তবর্তী লক্ষ্মীপ্রসাদ পশ্চিম ইউপির সিঙ্গারীপার গ্রামের আবুল হাসিমের পুত্র বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। এ ঘটনা থানায় এসআই স্বপন চন্দ্র সরকার বাদী হয়ে গ্রেফতারকৃত নূর আহমদ কে আসামী করে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করেছেন। সম্প্রতি কয়েক দিন পূর্বে ভারত থেকে চোরাইপথে নিয়ে আসা বিদেশী সিগারেটের একটি বড় চালান জকিগঞ্জ উপজেলায় নিয়ে যাবার পথে ভোরে রামিজা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে রাস্তায় গাছ ফেলে বেরিকেট সৃষ্টি করে দুর্বৃত্তরা কয়েক লক্ষ টাকার সিগারেট লুট করে নিয়ে যায়। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে চোরাকারবারী চক্র বিজিবির চোখ ফাঁকি দিয়ে সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারত থেকে মিয়ানমার সহ বিদেশী ব্রান্ডের সিগারেট চোরাই পথে এনে কম দামে কানাইঘাট উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজার সহ জকিগঞ্জ-গোলাপগঞ্জ উপজেলার হাট বাজারে পাইকারী দোকানদারদের কাছে বিক্রি করছে। কয়েকজন ধূমপায়ীর সাথে কথা বলে জানা গেছে বাংলাদেশী ব্রান্ডের সিগারেটের দাম চওড়া হওয়ায় তারা কম দামে চোরাই পথে আনা বিদেশী সিগারেট কিনছেন। চোরাই পথে আনা বিভিন্ন ব্রান্ডের সিগারেট বাজারে ৩০/৩৫ টাকায় বিক্রি হয়ে থাকে। সিগারেট ব্যবসায় অধিকা লাভ হওয়ার কারনে চোরাকারবারীরা অত্যন্ত কৌশলে এ ব্যবসায় নেমে পড়েছে। দেশী-বিদেশী বৈধ ভাবে আমদানীকৃত সিগারেটে বিক্রি ও সরকারের রাজস্ব রক্ষার্থে চোরাই পথে আনা বিদেশি সিগারেট ব্যবসার সাথে জড়িত চোরাকারাবারিদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন সচেতন মহল।