কাজিরবাজার ডেস্ক :
আগামী জাতীয় নির্বাচনের তফসিল বৃহস্পতিবারই হবে-সাফ জানিয়ে দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা। তবে দলগুলোর সমঝোতা হলে ভোট পেছানোর সুযোগ আছে।
এই দাবি নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বাদানুবাদের পর দিন মঙ্গলবার সকালে গণমাধ্যম কর্মীদেরকে এ কথা জানান সিইসি। সকালে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশনে ইভিএম ব্যবহার সংক্রান্ত প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন তিনি।
গত ৪ নভেম্বর নির্বাচন কমিশনে এক বৈঠকে আগামী বৃহস্পতিবার তফসিল ঘোষণার সিদ্ধান্ত হয়। আর এ সময় ভোটের জন্য ৪৫ দিন সময় দেয়ার ইঙ্গিত দেন নির্বাচন কমিশনার শাহাদাত হোসেন চৌধুরী।
পরদিন নির্বাচনের তফসিল পেছানোর দাবি নিয়ে কমিশনে যান ঐক্যফ্রন্ট নেতারা। তারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপের ফলাফল না আসা পর্যন্ত ভোটের তারিখ ঘোষণা না করার দাবি জানান। আর এই আলোচনায় দুই পক্ষে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ও হয়।
সিইসি বলেন, ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল পেছানোর কোনো সম্ভাবনা নেই। সব রাজনৈতিক দল একমত হলে নির্বাচন (ভোটের তারিখ) পেছানো হবে।’
২৮ জানুয়ারির মধ্যে ভোট নেয়ার সুযোগ থাকলেও নির্বাচন ডিসেম্বরেই হওয়া দরকার বলে মনে করেন সিইসি। জানুয়ারিকে ‘ডিসটার্বিং মাস’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সময় থাকে না। …জানুয়ারি মাসে বিশ্ব ইজতেমা হয়। আমি যতদূর জানি, দুই দফায় এ কারণে ১৫ থেকে ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত নির্বাচন করা সম্ভব হবে না। এখানে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে পুলিশ, র্যাব নিয়োগ করা হয়।’
‘১ তারিখের পর থেকে স্কুলগুলো খোলা থাকে। এ ছাড়া এ সময় অনেক শীত ও কুয়াশা থাকে। এ জন্য চর ও হাওড় অঞ্চলে ঝুঁকি থাকে।’
এর আগে প্রশিক্ষণ উদ্বোধনকালে সিইসি জানান, সীমিত আকারে শহরাঞ্চলে ইভিএম ব্যবহার করা হবে। তবে কোথায় ব্যবহার করা হবে এটি কমিশনের হাতে থাকবে না। দ্বৈবচয়নের মাধ্যমে এটি করা হবে।
‘ভোটারদের ভোটের স্বার্থ সুরক্ষিত রাখার জন্য ইভিএমের বিকল্প নেই। ব্যালটে পেপারে নানা অসুবিধা রয়েছে। সেগুলো এড়িয়ে চলার জন্য ইভিএম চালু করা হবে। ইভিএমে ভোট কারচুপি করার সুযোগ নেই।’
কর্মকর্তাদেরকে সিইসি বলেন, ‘ইভিএম ব্যবহারে যদি দেখেন ভোটারদের স্বার্থ রক্ষা হচ্ছে না, তাহলে আমাদেরকে জানাবেন। আমরা স্বার্থ রক্ষা না হলে ভোটারদের ওপর এটি জোড় করে চাপিয়ে দেব না।’