মো. শাহজাহান মিয়া জগন্নাথপুর থেকে :
জগন্নাথপুরে গণধর্ষণ মামলার ২ আসামীকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।
জানা গেছে, গত ৮ অক্টোবর রাতে জগন্নাথপুর পৌর শহরের জগন্নাথপুর গ্রামের জিতু মিয়ার বাড়িতে গণধর্ষণের শিকার হন বিশ^নাথ উপজেলার বৈদ্যের কাপন গ্রামের চেরাগ আলীর ১৫ বছরের ষোড়শি কন্যা। এ ঘটনায় জগন্নাথপুর থানায় মামলা হলে মামলার আসামী নবীগঞ্জ থানার পূর্ব রুস্তমপুর গ্রামের রশিদ মিয়ার ছেলে আইনুল হক (২৭) ও জগন্নাথপুর উপজেলার পাটলি ইউনিয়নের আসামপুর গ্রামের মৃত কাচা মিয়া ওরফে উমরা মিয়ার ছেলে বুরহান উদ্দিন (৩৫) সহ দুই আসামীকে গ্রেফতার করা হয়। এর মধ্যে আসামী আইনুল হক জগন্নাথপুর পৌর শহরের নয়াবাড়ি গ্রামে ও আরেক আসামী বুরহান উদ্দিন জগন্নাথপুর গ্রামের জিতু মিয়ার বাড়িতে ভাড়াটে বসবাস করে আসছিল। আসামীদের সুনামগঞ্জ আদালতে প্রেরণ ও ধর্ষিতাকে ডাক্তারী পরীক্ষা করানো হয়।
জানাযায়, ধর্ষিতা গত ৮ অক্টোবর রাত প্রায় ৯ টার দিকে বিশ^নাথ থেকে জগন্নাথপুর বাস ষ্ট্যান্ডে নামলে তার আত্মীয় শাহেদ আলীর বাড়িতে তাঁকে পৌছে দেয়ার কথা বলে আসামীরা পৌর শহরের স্লুইচগেইট এলাকায় নিয়ে সময় ক্ষেপণ করে রাত প্রায় ১১ টার দিকে জগন্নাথপুর গ্রামের জিতু মিয়ার বাড়িতে নিয়ে সারারাত পালাক্রমে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়। পরে এ ঘটনায় থানায় মামলা হলে আসামীদের গ্রেফতার করে পুলিশ।
প্রথমে অনেক চেষ্টা করলেও সাংবাদিকদের তথ্য দেয়া না হলেও অবশেষে ঘটনার ৩ দিন পর ১১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বেলা ২ টা ২৪ মিনিটের সময় সাংবাদিকদের তথ্য দিয়েছে থানা পুলিশ।
এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর থানার ওসি (তদন্ত) নব গোপাল দাশ বলেন, ধর্ষিতার মেডিকেল টেস্ট শেষ হওয়ার পর, সে আসামীদের চিহিৃত করতে গিয়ে অনেকটা বিলম্ব হয়েছে।