ছাতক থেকে সংবাদদাতা :
ছাতকে ৫টি সংগঠনের দাবী না মানায় দু’দিন ধরে নৌ-পথে কর্মবিরতি পালন করছে কয়েক হাজার শ্রমিক। কতিপয় ব্যবসায়ী গোয়ালগাঁয় (তিন নদীর মোহনা) নদী বন্দর এলাকা অতিক্রম করে বালু-পাথর লোড-আনলোড কার্যক্রম বন্ধ না করায় এই কর্মবিরতি শুরু করেছে দিনমজুর শ্রমিকরা। ফলে সুরমা ও চেলা নদীতে অবস্থানরত সকল প্রকার নৌযানে বালু-পাথর লোড-আনলোড বন্ধ রয়েছে।
এ বিষয়ের প্রতিবাদে গেল সপ্তাহে শহরের পুরাতন কাষ্টমস্ রোডে ছাতক বাজার বালু ব্যবসায়ি সমিতি, নৌকা মালিক সমিতি, লাল পাথর ব্যবসায়ি সমিতিসহ ৫টি সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু ওই সমাবেশের পরও ব্যবসায়ি-শ্রমিকদের যৌক্তিক দাবির বিষয়ে সংশ্লি¬¬ষ্ট কর্তৃপক্ষ আইনগত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় নৌ-পথে এখন অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গেল মঙ্গলবার রাতে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বিলাজুড়ে কতিপয় অসাধূ ব্যবসায়িরা ছাতকের ১১টি নৌকা আটক করে। এ ঘটনার প্রতিবাদে পাঁচ সমিতির নেতৃবৃন্দ জরুরি বৈঠক করে বুধবার শহরে মাইকিং করে নৌ-পথে সকল শ্রমিক ও নৌকা মালিকরা কর্মবিরতি পালন করে নৌকা চলাচল বন্ধ রাখার ঘোষনা দেয়া হয়। যার ফলে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ৫টি সমিতির প্রায় ৪ হাজার ইঞ্জিন চালিত ছোট-বড় নৌকায় বালু-পাথর পরিবহন ও লোড-আনলোড বন্ধ রয়েছে।
পাঁচ সমিতির ঐক্যজোটের সভাপতি আবদুস সত্তার ও সাধারন সম্পাদক নাজমুল হাসান জুয়েল জানান, নৌ-পথে কর্মবিরতির কারনে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন ব্যবসায়িদের পাশাপাশি এই অঞ্চলের দিন মজুর কয়েক হাজার শ্রমিক। তারপরও আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলবে।
সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার ছাতক (সার্কেল) মো. দুলন মিয়া পাঁচ সমিতির নেতৃবৃন্দ আন্দোলনের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এখানে পুলিশের কোন ভুমিকা নেই। তারপরও এই জটিলতার বিষয়ে দুটি উপজেলার ইউএনওসহ আলোচনার মাধ্যমে কি ভাবে সমাধান করা যায়, সেই চেষ্টা চলছে।