কমলগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী ধলই চা বাগান এলাকা থেকে শনিবার দুপুরে মস্তকবিহীন এক অজ্ঞাত মহিলার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশটি ইরানী তাতি নামের এক মহিলার বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২৩ সেপ্টেম্বর রাতে ৭ জনকে আটক করলেও একজন সন্দেহজনক জবানবন্দী দিলে পুলিশ তাকে মৌলভীবাজার কারাগারে প্রেরণ করে। বাকী ৬ জনকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির জিম্মায় ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।
জানা যায়, ২৪ সেপ্টেম্বর পুলিশ ঘটনার অনুসন্ধানে শ্রীমঙ্গল কালিঘাট চা বাগানের ইরানী তাতির বাড়িতে যায়। সেখানে গেলে তার পরিবার জানায়, তাদের মেয়ে ফুলছড়া চা বাগান মন্দিরে রয়েছে। তার পরিবার মস্তকবিহিন লাশের ছবি দেখালেও ইরানীকে সনাক্ত করতে পারেনি। পরে জানা যায় ফুলছড়া মন্দির কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর ইরানী চলে যায়। কিন্তু কোথায় গেছে পরিবারের কেউ জানেন না বলে জানান।
এদিকে পুলিশের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতদের কাছ থেকে জানা যায়, ইরানী সকালে ধলাই চা বাগানে রামচন্দ্র পাশীর বাড়ীতে এসেছিলো। গোসল সেরে দুপুরে ইরানী ভিক্ষার উদ্দেশ্যে সেখান থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। আটক দয়াল সাধু ছাড়া বাকি ছয়জনের কাছে কোন তথ্য না পাওয়ায় তাদেরকে স্থানীয় ইউপি চেয়াম্যানের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়। আটক দয়াল সাধুকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
অজ্ঞাত লাশের বিষয় নিয়ে বাগানে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে ৬ দিনের মাথায় ইরানী তাতী রাধার ব্যবহৃত কাপড় ও অন্যান্য জিনিসপত্র ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করেছেন কমলগঞ্জ থানার এসআই চম্পক ধাম ও এএসআই আনিছুর রহমান ।
তদন্ত কর্মকর্তা কমলগঞ্জ থানার এসআই চম্পক ধাম জানান, অজ্ঞাত লাশের পরিচয় পাওয়া গেছে। তিনি আরও বলেন, হত্যাকারীদেরকে সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।