সিন্টু রঞ্জন চন্দ :
আইন-শৃংঙ্খলার অবনতি হওয়া সিলেট নগরীতে গত ৩ মাসে ৮ জন খুন হয়েছেন। এর মধ্যে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে খুন হন ২ জন, প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে খুন হন কুয়েত আওয়ামী লীগ নেতা ও এক স্কুল ছাত্র এবং পারিবারিক কলহের জেরে আরো ৪ জন খুন হয়েছেন। এছাড়া একটি আবাসিক হোটেল থেকে বাংলাদেশ ইউনানী সমিতির মহাসচিব এক নারী রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়েছে।
এসব খুনের মুঠিব ভিন্ন ভিন্ন ধরনের। সংশ্লিষ্ট থানায় এসব খুনের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হলেও একটি খুনের পর আরেকটি খুনের ঘটনায় আড়াল হয়ে পড়ছে একেকটি হত্যাকান্ডের আসল রহস্য। পুলিশ সম্প্রতি এসব খুনের ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে কয়েক জন আসামীকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলমান রাখলেও আসল খুনিরা থেকে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাহিরে। দক্ষিণ সুরমায় এক পরিবারে স্ত্রী ও ২ কন্যা সন্তানকে হত্যা করে পালিয়ে গেছে স্বামী। কিন্তু পুলিশ এখন পর্যন্ত ওই পাষন্ড হত্যাকারীকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, তথ্যপ্রযুক্তির যুগে আসল খুনিদের শনাক্ত করা বা তাদেরকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনাটা কোন সময়ের ব্যাপার নয়। কিন্তু পুলিশ এসব কাজে খুনি শনাক্ত করতে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। তারা মনে করছেন- তদন্তকারী কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষনে বা ট্রেনিংয়ে কোন গাফিলতি রয়েছে। তা না হলে একটি খুনের পর আরেকটি খুনের ঘটনাটি আড়াল হয়ে যেতো না।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, গত ৩১ আগষ্ট রাত পৌনে ১১টার দিকে নগরীর জিন্দাবাজার এলাকার তাঁতীপাড়া গলির মুখে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে এসএম আব্দুল আহাদ (৪০) নামে একজন প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা খুন হন। নিহত আব্দুল আহাদ মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার করিমপুর এলাকার বাসিন্দা হাজি নুর মিয়ার পুত্র ও কুয়েত আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তাঁতীপাড়া সড়কে হাঁটছিলেন আব্দুল আহাদ। এমন সময় কয়েকজন যুবক তাকে ছুরিকাঘাত করে সড়কে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত ব্যক্তির পিঠের বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকটি, পায়ে ও উরুতে একাধিক ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মারা যান তিনি। ঘটনার সময় নিহত আহাদের পরনে শার্ট ও লুঙ্গি ছিল। এতে ধারণা করা হয় তিনি তাঁতীপাড়ার কারো বাসায় বেড়াতে আসতে পারেন। তবে কি কারণে খুনের ঘটনা ঘটেছে, হত্যাকারী কারা তা জানা যায়নি। এ ঘটনায় কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গত ১১ আগষ্ট রাত সাড়ে ৯টার দিকে সিলেট সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীরর বাসার সামনে ছাত্রদলের পদবঞ্চিত ও নতুন কমিটির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে ফয়জুর রহমান রাজু নামে পদবঞ্চিত এক কর্মী খুন হন। এ সময় সংঘর্ষে আহত হন পদবঞ্চিত আরো ২ কর্মী। নিহত রাজু নগরীর শাহজালাল উপশহর ‘এ’ ব্লকের ৯ নম্বর রোডের ১২ নম্বর বাসার বাসিন্দা ফজর আলীর পুত্র এবং সাবেক ছাত্রদল নেতা এমরান-নাচন-আজিজ গ্র“পের কর্মী বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
কুমারপাড়াস্থ বাসার সামনের রাস্তায় ছাত্রদলের আব্দুর রকিব চৌধুরী-রজব গ্র“পের ও নাচন আজিজ গ্র“পের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। গুরুতর আহতাবস্থায় ছাত্রদলের উপশহর গ্র“পের রাজু, উজ্জ্বল ও অজ্ঞাত আরেকজনকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হন। অস্ত্রোপচার কক্ষে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজু আহমেদের মৃত্যু হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মেয়র পদে বিজয়ী আরিফুল হক চৌধুরীকে নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে বোরোনোর পর বিজয় মিছিল বের করেন ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। মিছিলটি কুমারপাড়া গিয়ে পৌঁছালে নিজ বাসভবনে চলে যান আরিফুল হক চৌধুরী। এরপর কমিটি নিয়ে বাকবিতণ্ডার জের ধরে আরিফের বাসার সামনের সড়কে জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রকিব চৌধুরী গ্র“পের নতুন কমিটির নেতাকর্মীরা পদবঞ্চিত ছাত্রদলের কর্মীদের কুপিয়ে জখম ও গুলি করেন। আহতদের রক্তে রাস্তা রঞ্জিত হয়ে পড়ে। বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন। দলীয় সূত্র জানায়, ছাত্রদলের উপশহরের রকিব ও রজবের নেতৃত্বে মোস্তাফিজ, রাসেল, জাহাঙ্গীর, এনামুল হামলা ও গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর নগরীতে থমথমে অবস্থা বিরাজ করে। তবে এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক কাউকে আটক করতে পারেনি। তবে পরে পুলিশ এ ঘটনায় কয়েকজনকে গ্রেফতার করে বলে জানা গেছে।
১৩ আগষ্ট রাতে সিলেটে মেয়র আরিফুল হকের বিজয় মিছিল শেষে হামলায় নিহত ছাত্রদল নেতা ফয়জুল হক রাজু হত্যার ঘটনায় তার চাচা দবির চৌধুরী বাদি হয়ে ৩৫ ছাত্রদল নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় সিলেট জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রকিব চৌধুরী ও বর্তমান কমিটির সভাপতি আলতাফ হোসেন সুমন, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দিনারসহ ২৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ১০/১২ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর আগে ১২ আগস্ট সিলেটে ছাত্রদল নেতা ফয়জুল হক রাজুর ময়নাতদন্তে শেষে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ। এরপর লাশ কাঁদে নিয়ে সতীর্থ সহকর্মী পদবঞ্চিত ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা মেডিকেল ক্যাম্পাস এলাকায় মিছিল করে রাজুর খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শান্তি দাবি করেন।
২৯ আগষ্ট দুপুরে মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ প্রচার সম্পাদক ফয়জুল হক রাজুর হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে নগরীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে মানববন্ধন করে বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলসহ অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
নগরীর দক্ষিণ সুরমা ঝালোপাড়া এলাকার একটি কলোনীতে পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রী ও ২ কন্যা সন্তানকে খুন করে পালিয়ে যায়। পরে ৩০ জুলাই দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলের বাথরুম থেকে তাদের গলিত লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ওসমানী হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় এরশাদ নামে ওই কলোনির কেয়ারটেকারকে আটক করলেও পরে ছেড়ে দেয় পুলিশ। কলোনির মালিক প্রবাসী কামাল আহমেদের বড় ভাই মোস্তফা মিয়া ওই সময় বলেন নিহত ৩ নারীই কলোনির কেয়ারটেকার এরশাদের আত্মীয়। তিনদিন আগে নিহত তিনজন ও একজন পুরুষ বেড়াতে আসেন। তারা ওই কক্ষেই ছিলেন। দুই দিন যাবত কক্ষটি তালাবদ্ধ থাকার পর দুর্গন্ধ বেরুলে থানায় খবর দেওয়া হয়। নিহতরা হচ্ছে- জনি বেগম শিউলী (৩৫) ও তার দুই মেয়ে মীম আক্তার (১৫) ও তাসকীন আক্তারের (১৩)।
এ ট্রিপল মার্ডারের নেপথ্যের কারণ হিসেবে নিহত জনি বেগম শিউলির স্বামী হাসান মুন্সির দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে দ্বন্দ্ব দায়ী করে পুলিশ। পুলিশ জানায়, গার্মেন্টস কর্মী হাসান মুন্সির সংসারে দুই মেয়ে ও স্ত্রী থাকা স্বত্বেও ঢাকায় আরেকটি বিয়ে করে হাসান। এ নিয়ে স্ত্রী ও দুই মেয়ে সঙ্গে দ্বন্দ্বের কারণে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে হাসান পরিকল্পিতভাবে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করেছে দাবি পুলিশের। হাসান বর্তমানে পলাতক রয়েছেন। ময়না তদন্তে নিহতদের শ্বাসরোধ করে হত্যার প্রমাণ পায় পুলিশ। ময়না তদন্ত শেষে তাদের লাশ শিউলীর ভাই বাদশা মিয়ার কাছে হস্তান্তর করে হলে দাফনের জন্য প্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল ফজল বলেন, পলাতক হাসান মুন্সি গোপালগঞ্জ জেলার মোকছেদ পুর থানার কমলাপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি প্রায় ১৫ বছর ধরে সপরিবারে সিলেট থাকেন।
তিনি আরও বলেন, হত্যার পর মরদেহগুলো টয়লেটে রেখে ঘর তালাবন্ধ করে পালিয়ে যান হাসান মুন্সি। ঘর থেকে পচা দুর্গন্ধ বেরোলে গত ৩০ জুলাই নগরীর দক্ষিণ সুরমার ঝালোপাড়া জি ব্লকের প্রবাসী কামাল আহমদের মালিকানাধীন একটি টিনশেড বাড়ির টয়লেট থেকে শিউলী ও তার দুই মেয়ে মীম আক্তার ও তাসকীন আক্তারের গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহত শিউলির ভাই বাদশা মিয়া বাদী হয়ে দক্ষিণ সুরমা থানায় হাসান মুন্সিকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
গত ১৬ জুন নগরীর শিবগঞ্জ মিতালি ফার্মেসীর সামনে পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিবাগত রাত সোয়া ১০টার দিকে মশিউর রহমান তাহমিন (১৬) নামে স্কুলছাত্রকে ছুরিকাঘাতে খুন করা হন। এ ঘটনায় রাহাত নামে একজনকে আটক করে পুলিশ। নিহত তাহমিন শিবগঞ্জ সোনারপাড়ার ৩৭৬নং বাসার মুজিবুর রহমানের পুত্র। তার গ্রামের বাড়ি গোলাপগঞ্জের ঢাকা দক্ষিণ এলাকায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রাতে কয়েক যুবক তাকে গালের বাম পাশে ও দেহের বিভিন্নস্থানে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। এরপর তারাই ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে রেখে আসে। পরে ওখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাহমিনকে মৃত ঘোষণা করেন। তার বাবা মুজিবুর রহমান বলেন, তাহমিনের কয়েক বন্ধু সন্ধ্যার পর বাসায় বেড়াতে আসে। পরে নাস্তা খেয়ে তাহমিনকে নিয়ে বের হয়ে যায় তারা।
তার ছেলেকে তারাই খুন করেছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, তাহমিনের এসব বন্ধুদের আমি আগে কখনও দেখিনি। তাই তাদের নাম বলতে পারছি না। পরে তিনি এ ঘটনায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ বলছিল অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজন তাহমিনকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে। কি কারণে, কে বা কারা হত্যা করছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতারের খবর পাওয়া যায়নি।
গত ২ জন শহরতলীর কান্দিগাঁওয়ের বাঘারপাড় গ্রামে পারিবারিক বিরোধের জের ধরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আব্দুল আহাদ ফকির (৪০) নামে এক ব্যক্তি খুন হন। আহত হয়েছেন আরও দুইজন। নিহত আব্দুল আহাদ ওই গ্রামের মৃত ইদ্রিস আলীর পুত্র।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, পারিবারিক বিরোধের জের ধরে ওই এলাকার জুনাব আলীর বাড়িতে অস্ত্রসহ হামলা করেন একই এলাকার আব্দুল বাছির, ফকির আলী, শমসের আলী, আলাই মিয়া, ইউনুস মিয়া, রফিক মিয়া ও দেলোয়ার হোসেন। এসময় জুনাব আলীর লোকজন তাদের প্রতিহত করতে গেলে সংঘর্ষ বাধে। এতে গুরুতর আহত আব্দুল আহাদ, দেলোয়ার ও আব্দুল বাছিরকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আব্দুল আহাদকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে রাত ১০টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়।
গত ৪ আগস্ট দুপুর ১২টার দিকে নগরীর ধোপাদিঘীরপাড়ে অনুরাগ হোটেলের দোতলার ২২৯ নম্বর কক্ষ থেকে ফেরদৌস ওয়াহিদ বুধু (৫৫) নামে রহস্যজনকভাবে ঢাকা তিব্বিয়া কলেজের অধ্যক্ষ ও বাংলাদেশ ইউনানী সমিতির এক মহাসচিবের লাশ উদ্ধার করা হয়।
কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাদিউল ইসলাম জানান, লাশ হোটল কক্ষে খাটের উপর রাখা ও মুখ দিয়ে ফেনা বেরোচ্ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা গেছেন। ময়না তদন্তের জন্য লাশ ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
সিলেট তিব্বিয়া কলেজ কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন জানান, কলেজে ভর্তির সাক্ষাৎকার নিতে ফেরদৌসকে সিলেটে এনেছিলেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। সিলেটে আসার পর তিনি হোটেল কক্ষে রাত্রিযাপন করেন। সকালে সংশ্লিষ্টরা তাকে ফোনে না পেয়ে হোটেলে এসে বন্ধ দরজা খুলে লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। তবে এ ঘটনার আসল রহস্য কি তা এখনও জানা যায়নি।